Menu Button

Thursday, March 27, 2014

ফ্রিল্যান্সিং কাজে ভাল করার উপায়


ফ্রিল্যান্সিং কাজে ভাল করার উপায়:
Freelancing tips: ফ্রিল্যান্সিং কাজে ভাল করার উপায়
কেউ কেউ মনে করেন ফ্রিল্যান্সিং অলস মানুষের কাজ। তারা অল্প সময় কাজ করেন, বাকি সময় কিছু করেন না। চাকরীজীবি বরং নির্দিষ্ট সময়ে মেনে কাজ করে।

বাস্তবতা একেবারে বিপরীত। অধিকাংশ ক্ষেত্রে চাকরীজীবি নির্দিস্ট সময়ের বাইরে তার বিষয় নিয়ে আদৌ মাথা ঘামান না। এমনকি যে বিষয়ে কাজ করেন সেখানেও মাথা ঘামানোর সুযোগ থাকে না। রুটিনমাফিক নির্দিস্ট কিছু বিষয় নিয়ে চলতে হয়। অন্যদিকে ফ্রিল্যান্সারকে নতুন ক্লায়েন্ট-নতুন কাজ খোজ করতে হয়, সেকাজ এমনভাবে করতে হয় যেন পরবর্তীতে তারকাছে আরো কাজ পাওয়া যায়। কাজকে ক্রমাগত উন্নত করতে হয়। কাজের শেষ হওয়ার পরও মাথায় চিন্তা নিয়ে থাকতে হয়। অনেকে বলেন প্রোগ্রামার ঘুমের মধ্যেও প্রোগ্রামিং চিন্তা করেন। কথাটা ফ্রিল্যান্সারদের জন্য আক্ষরিক অর্থেই ঠিক।
ফ্রিল্যান্সাররা কঠোর পরিশ্রম করেন, পরিশ্রম ভালভাসেন। আর পরিশ্রমের ওপরই তাদের সাফল্য নির্ভর করে। দেখা যাক কোন কোন বিষয় সেকাজ আরো ভালভাবে করতে সাহায্য করতে পারে।
সঠিক সিদ্ধান্ত নিন
মানুষ দুকারনে গন্তব্যে পৌছে না। এক হচ্ছে যদি যে আদৌ না চলে, আরেক হচ্ছে যদি ভুলপথে চলে। পরেরটি প্রথমটির থেকেও ক্ষতিকর। ভুলপথে চললে আপনি গন্তব্য থেকে দুরে সরে যেতে পারেন। সেকারনে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া জরুরী।
আপনি সিদ্ধান্ত নিলেন ফ্রিল্যান্সার হবেন। এরপর কি করবেন।
আপনি খোজ নিতে শুরু করুন ফ্রিল্যান্সিং এর খুটিনাটি সম্পর্কে। কোথায় কাজ পাওয়া যায়, কাজের ধরন কি, সেকাজ করতে হলে কি জানতে হবে, যোগাযোগ কিভাবে হবে, টাকা কিভাবে পাবেন ইত্যাদি। বর্তমানে ইন্টারনেট একাজে সবচেয়ে ভাল মাধ্যম যেখানে সব প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। তথ্য জানা এবং সেইসাথে নিজের প্রস্তুতি নেয়া আপনার কাজের প্রথম ধাপ। এরপর যোগাযোগ করতে শুরু করুন। আপনি সবসময় সন্তোষজনক অর্থ পাবেন এমন কথা নেই। অন্তত শুরুতে তো বটেই। অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা বাড়ানোর সাথেসাথে আয়ের পরিমান বাড়াতে চেষ্টা করবেন। শুরুতে যেকাজ করে ৫ হাজার টাকা পেয়েছেন সেই পরিমান কাজ করে ১০ হাজার টাকা পেতে চেষ্টা করবেন। আপনার কাজের মান আপনাকে সেই সুযোগ এনে দেবে।
আপনি যদি একাজ শুরু করে থাকেন তাহলে কিছু অভ্যেস আপনাকে আরো সাফল্যের দিকে নিতে পারে। এগুলি মনোযোগ দিয়ে মেনে চলার চেষ্টা করুন।
.          যত বেশি সম্ভব পড়ুন। আপনি যে কাজ করবেন সেই কাজ সম্পর্কে পুরোটা জানবেন না সেটা হয় না। গ্রাফিক ডিজাইনের টিউটোরিয়াল দেখে ডিজাইনের কাজ করতেই পারেন কিন্তু সত্যিকারের ভাল গ্রাফিক ডিজাইনার হতে হলে এসম্পর্কিত পড়াশোনা করতে হবে। শুধু কিভাবে কাজ করে জানাই যথেষ্ট না। সাধারন নিয়মের বাইরে আরো বহুকিছু রয়েছে যা জানতে পারেন শুধুমাত্র পড়াশোনা করে। বই ছাড়াও ইন্টারনেটে বহু ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে নিয়মিত নানা ধরনের তথ্য-উপদেশ-অভিজ্ঞতার কথা জানানো হয়। এগুলির দিকে দৃষ্টি রাখুন। প্রতিটি বিষয়ে নানারকম ভিডিও পাওয়া যায় সেগুলি দেখুন।
.          নিজের জন্য কিছু সময় আলাদা করুন। ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনি ক্লায়েন্টের কাজ নিয়ে যদি পুরো সময় ব্যস্ত থাকেন তাহলে উন্নতির সম্ভাবনা কম। হাতের কাজের বাইরে কিছু সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা করুন, নতুন পদ্ধতি ব্যবহারের দিকে যান। চারিদিকের পরিবর্তনের সাথে মিল রেখে নিজের কাজে তার প্রতিফলন ঘটাতে চেষ্টা করুন।
.          নিজের কাজের বাইরে অন্য কিছু করুন। হয়ত আপনার কাজের সাথে ব্লগিং এর তেমন সম্পর্ক নেই। তাহলেও ব্লগ তৈরী করতে পারেন। এর মাধ্যমে যোগাযোগ বাড়বে। মানুষ বিনামুল্যে কিছু পেতে পছন্দ করে। কিছু কাজ করে সেগুলি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অন্যদের দিন। যদি লেখার অভ্যেস থাকে লিখে সেগুলি পিডিএফ হিসেবে অন্যদের দিন। প্রোগ্রামার হলে চোট প্রোগ্রাম তৈরী করে সেগুলি দিন। একসময় অর্থের বিনিময়ে দেয়ার সুযোগ তৈরী হবে। আপনার কাজে যেমন ভিন্ন আসবে, কাজের দক্ষতা বাড়বে সেইসাথে ভিন্নপথে আয়ের সুযোগ তৈরী হবে।
মানুষ স্বপ্ন দেখে। আপনি কি করতে চান সেটা কল্পনা করুন। তার ওপর ভিত্তি করে কাজের পরিধি বাড়াতে চেষ্টা করুন। সাধারনের বাইরে কিছু করলে একসময় সেখানে সাফল্য ধরা দেবেই।
ফ্রিল্যান্সারদের সবচেয়ে বড় সুবিধে এখানেই।

By Uzzal Malek

No comments:

Post a Comment