Earn Money

অনলাইনে কাজ পেতে হলে আপনাকে যা করতে হবে

সম্প্রতি ইল্যান্সের এক জরিপে দেখা গেছেস্বাধীনভাবে কাজ করতে পারায় ৯০ শতাংশ ফ্রিল্যান্সার নিজেকে সুখী মনে করেন এবং বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা হওয়া স্বত্বেও অর্ধেকের বেশি ফ্রিল্যান্সার চিন্তিত নন।
ফ্রিল্যান্সিং ক্ষেত্রে সফলতা দেখে অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং করতে চান। অনেকে বলেন, অভিজ্ঞতা না থাকলে ফ্রিল্যান্সিং করা যায় না। তবে দক্ষ ফ্রিল্যান্সাররা বলেন, অভিজ্ঞতা না থাকলেও  ফ্রিল্যান্সিং করা যায়; এক্ষেত্রে ইচ্ছা, পরিশ্রম ধৈর্য থাকতে হয়।
বাংলাদেশে ইল্যান্সের কান্ট্রি ম্যানেজার সাইদুর মামুন খান প্রথম আলো ডটকমকে জানিয়েছেন, দেশে নতুন ফ্রিল্যান্সারদের সম্ভাবনা অনেক। নতুন আগ্রহীদের জন্য বিশেষ পরামর্শও দিয়েছেন তিনি
লক্ষ্য নির্ধারণ করা
লক্ষ্য নির্ধারণ করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনি ফ্রিল্যান্সিংয়ের কোন কাজটি করতে চান বা আপনার কোন সেবা বিক্রি করতে চান সেটি আগে নির্ধারণ করতে হবে। অধিকাংশ মানুষ যে ভুলটি করে, তা হল অন্যরা কি করছে তা অনুসরণ করা। ক্ষেত্রে আপনার যে অভিজ্ঞতা আছে বা আপনার যে বিষয়টি ভালো লাগে সেটি নির্বাচন করা। আপনি যদি গণিতে ভাল হন, তাহলে আপনার লক্ষ্য হওয়া উচিত প্রোগ্রামিং। আর যদি আঁঁকাআঁঁকি ভালো লাগে তাহলে আপনার জন্য গ্রাফিকস ডিজাইন সবচেয়ে সুবিধাজনক হবে। যদি লেখালেখি ভালো লাগে তাহলে লেখালেখিতেই ফ্রিল্যান্স ক্যারিয়ার গড়তে পারেন। লিখতে পারেন ব্লগ, একাধিক ভাষা জানা থাকলে অনুবাদক হিসেবেও কাজ করতে পারেন। যদি ভালো গবেষণা করতে পারেন তবে গবেষক, পরিকল্পনাবিদ থেকে শুরু করে প্রযুক্তি দক্ষতার সব রকম কাজই পাবেন অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে। কাজের দক্ষতাই ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফল হওয়ার চাবি
ফ্রিল্যান্স প্রোফাইল তৈরি করা
ফ্রিল্যান্সাররা প্রথমেই যে মূল সমস্যায় পড়েন তা হচ্ছে প্রোফাইল তৈরি। সুন্দর একটি প্রোফাইল তৈরি করে নিজেকে অনলাইন মার্কেটপ্লেসে উপস্থাপন করতে পারলে কাজ পাওয়া সহজ হয়ে যায়। অধিকাংশ ফ্রিল্যান্সাররা ভাবেন যে, কাজের দক্ষতা অর্জনের পরেই কেবল প্রোফাইল তৈরি করা যায়। এটা একটি ভুল ধারণা। সুন্দর প্রোফাইল আগে তৈরি করা যেতে পারে তবে একজন ফ্রিল্যান্সারের দক্ষতা অর্জন করার আগে কাজে বিড করা উচিত নয়। এজন্য আগে ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট থেকে কাজ সম্পর্কে ভালো ধারণা নিতে হবে
যাঁরা নতুন তাঁদের অনেকের প্রশ্ন থাকে কোথায়, কীভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করব? প্রশ্নের সহজ উত্তর হচ্ছে কাজ শুরুর আগে ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোতে কী ধরনের কাজ হয় তা পর্যবেক্ষণ করা। অ্যাকাউন্ট খোলা, সুন্দর প্রোফাইল তৈরি করা। নিজের কাজের স্যাম্পল তৈরি করা। পরীক্ষা দিয়ে নিজের দক্ষতা যাচাই করা। কাজের জন্য ইল্যান্স, ওডেস্ক, ফ্রিল্যান্সারের মতো পরিচিত সাইটগুলোতে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে আগে প্রাথমিক জ্ঞান অর্জন করুন পাশাপাশি আপনার দক্ষতার কাজগুলোকে সাইটের কাজের বর্ণনার সঙ্গে মিলিয়ে অনুশীলন করুন। দক্ষতা না থাকলে শুরুতেই কাজ পাওয়ার জন্য বিড করবেন না। কাজে দক্ষ হয়ে তবে বিড করুন
ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য এখন কয়েকটি বিষয় খুব জরুরি। সাবলীল ইংরেজি বলা, লেখা ইংরেজি বোঝা। আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো সম্পর্কে জ্ঞান থাকাও দরকার। স্কাইপ ব্যবহার জানতে হবে। দ্রুতগতির ইন্টারনেট থাকা সবার আগে দরকার
প্রোফাইল তৈরির নিয়মকানুন
প্রোফাইল তৈরিতে দক্ষতা কাজের বর্ণনা দিতে পারেন। ক্ষেত্রে অভিজ্ঞদের পরামর্শ নিন।  আপনি যে বিষয়ে পারদর্শী, সেটিকে তুলে ধরতে চেষ্টা করুন। প্রোফাইল সুন্দরভাবে গোছান, শতভাগ প্রোফাইল সম্পূর্ণ করুন। ফ্রিল্যান্সার সাইটগুলোতে কাজ শুরু করার আগে আপনি যে বিষয়ে পারদর্শী, সেই বিষয়গুলোতে পরীক্ষা দিন এবং ভালো ফল করতে চেষ্টা করুন। যে বিষয়ে পরীক্ষা দেবেন, সে বিষয়ে আগে কিছু পড়াশোনা করে তবে পরীক্ষা দিন আপনার কাজের নমুনা বা স্যাম্পল তৈরি করে প্রোফাইলে যুক্ত করুন। আপনার নমুনা কাজগুলো বায়ারকে আকৃষ্ট করতে পারে আর আপনাকে কাঙ্ক্ষিত কাজটি এনে দিতে পারে
প্রোফাইল তৈরির সময় খেয়াল রাখবেন যে, আপনি একজন পেশাদার হিসেবে এখানে কাজ করবেন। আপনার অদক্ষতা যেমন আপনার জন্য বায়ারের কাছ থেকে খারাপ ফিডব্যাক দেবে তেমনি দেশের অন্য ফ্রিল্যান্সারদের সম্পর্কেও নেতিবাচক ধারণা দেবে। তাই প্রোফাইলে সব সময় সঠিক তথ্য দেওয়া উচিত্
প্রোফাইল তৈরি সম্পূর্ণ হলে  এবং কাজের দক্ষতা নিয়ে আত্মবিশ্বাস থাকলে আপনি কাজ পাওয়ার আবেদন করার জন্য প্রস্তুত
ইচ্ছা, ধৈর্য আর পরিশ্রম করলে অনলাইনে অভিজ্ঞতা ছাড়া ঘরে বসেই আয় করা সম্ভব। বিষয়ে যারা নতুন আগ্রহী, তাঁদের জন্য অনলাইনে আয় বিষয়ক এই পরামর্শ দিয়েছেন ইল্যান্সের কান্ট্রি ম্যানেজার সাইদুর মামুন খান।
মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে ধারণা নেওয়া
নতুন অবস্থায় একজন ফ্রিল্যান্সারের মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে ধারণা একেবারে না থাকতে পারে। তবে সঠিকভাবে কাজ করার ক্ষেত্রে সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা থাকা প্রয়োজন। বেশির ভাগ ফ্রিল্যান্সারই ধারণা পাওয়ার জন্য বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটের গ্রুপে প্রশ্ন করে থাকেন। অথচ, প্রতিটি অনলাইন মার্কেটপ্লেসে তাঁদের হেল্প সেন্টার থাকে, যেখানে অনেক সঠিক তথ্য পাওয়া যায়। একজন ফ্রিল্যান্সারের নিয়মিত এই পোস্টগুলো দেখা উচিত। ভালোভাবে জানার পরেই মার্কেটপ্লেসে কাজের জন্য বিড করা বা কাজ করা উচিত।
বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করা
আমরা যেমন একটি কম্পিউটার কিনতে গেলে শুধু একটি কম্পিউটারের কেসিং বা বক্স কিনি না, এর সঙ্গে প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশও কিনি। তেমনি, যখন কোন ক্লায়েন্ট একজন ফ্রিল্যান্সারকে কাজে নিয়োগ দেন তাঁর কাছ থেকে কাজের ক্ষেত্রে পরিপূর্ণ দক্ষ পেশাদারিত্বই আশা করেন। এক্ষেত্রে একটি প্রোফাইল তৈরি করাই যথেষ্ট নয়, একজন ফ্রিল্যান্সারকে অবশ্যই প্রমাণ করতে হবে কাজটি করার জন্য তাঁর কি যোগ্যতা আছে। বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি করতে এবং যোগ্যতা প্রমাণ করতে একজন ফ্রিল্যান্সার দুটি কাজ করতে পারেন-
দক্ষতার পরীক্ষা
একজন ফ্রিল্যান্সারের স্কিল টেস্টের মাধ্যমে তিনি কি কাজ করতে পারেন সে সম্পর্কে জানতে পারেন। ফ্রিল্যান্সার সাইটগুলোতে ফ্রিল্যান্সারদের জন্য স্কিল টেস্টের ব্যবস্থা আছে, যেখান থেকে স্কিল টেস্ট দিয়ে আপনার দক্ষতা যাচাই করা খুবই সহজ। এই টেস্টগুলো বিনামূল্যে  দেওয়া যায় এবং কেউ যদি টেস্টে খারাপ করেন তাহলে ফলটি লুকিয়ে রাখতেও পারবেন এবং আবার  ১৪ দিন পরে পরীক্ষা দিতে পারবেন। যদি ফ্রিল্যান্সার তাঁর প্রোফাইলে ভালো স্কোর দেখাতে পারেন, তাহলে কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে নিশ্চয়তা অনেকাংশে বেড়ে যায়
পোর্টফোলিও তৈরি
স্কিল টেস্ট প্রমাণ করে বৈষয়িক জ্ঞান, আর পোর্টফোলিও প্রমাণ করে একজন ফ্রিল্যান্সারের দক্ষতা এবং হাতে কলমে কাজ করার অভিজ্ঞতা। একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার এর উচিত যত বেশি পোর্টফোলিও সংযোগ করা। ওয়েব ডেভেলপার তাঁর ডেভেলপ করা সাইটের স্ক্রিন-শট নিয়ে আপলোড করতে পারেন, এবং গ্রাফিকস ডিজাইনার তাঁর ডিজাইন তৈরি করে প্রোফাইলে যুক্ত করে দেখাতে পারেন। বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজগুলো সংযুক্ত করতে পারেন স্কিল হিসেবে। সার্ভিস হোল্ডাররা তাদের সার্টিফিকেট দিয়ে দিতে পারেন অভিজ্ঞতা হিসেবে। সর্বোপরি কোন প্রোফাইলের পোর্টফোলিও একজন ফ্রিল্যান্সার যে বিষয়ে দক্ষ সে বিষয়ে তার পরিপূর্ণ দক্ষতা আছে সেটা প্রমাণ করে
নিজের প্রচারণা চালানো
নিজের ঢোল নিজে পেটানো কথাটি খারাপ শোনালেও একজন ফ্রিল্যান্সারের ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ। আপনাকে যেহেতু আঞ্চলিক আন্তর্জাতিক মার্কেটে কাজ করতে হবে তাই আপনার পরিচিতি থাকা আবশ্যক। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে নিজের অবস্থান তৈরি করতে আপনার ত্রুটিমুক্ত প্রোফাইল এর পাশাপাশি নিজেকে বিভিন্নভাবে তুলে ধরতে হবে। তাই সম্ভব হলে নিজের একটি পোর্টফোলিও ওয়েবসাইট তৈরি করা ভালো। এছাড়া বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ সাইটের প্রোফাইল পেজের মাধ্যমে আপনার এবং আপনার বিভিন্ন সেবা তুলে ধরতে পারেন। অবশ্যই প্রফেশনাল ছবি তথ্য শেয়ার করা উচিত। সামাজিক যোগাযোগ সাইটে আপনার পার্সোনালটি নষ্ট হয় এমন কোন কিছু করা উচিত নয়।  অন্যান্য ফ্রিল্যান্সারদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ প্রয়োজন।  এতে তাদের মাধ্যমে প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে
এছাড়াও আপনার দরকার কঠিন মনোবল, কারন অনলাইনে আয় করতে গেলে নানা ধরনের বাধা এবং হতাশা আসতেই পারে, এইগুলো অতিক্রম করতে পারলেই আপনি ইনশা-আল্লাহ্‌ সফল হতে পারবেন

কোন জায়গা থেকে ইন্টারনেট থেকে আয় করবেন :
কাজ কিভাবে পাবেন
চাকরী বা ব্যবসার বদলে কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করে আপনি যথেষ্ট পরিমান আয় করতে পারেন। সেটা ডাটা এন্ট্রির মত সহজ কাজই হোক আর প্রোগ্রামিং এর মত দক্ষতার কাজই হোক। অনেকে বলেন এটাই ভবিষ্যতের কাজের নিয়ম। বর্তমানে যেমন কোন কোম্পনীকে কাজ করানোর জন্য বেতন দিয়ে কর্মী নিয়োগ করতে হয়, ভবিষতে তারা একাজের জন্য ইন্টারনেটের ওপর নির্ভর করবেন। যে কেউ যোগাযোগ করে সেই কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। এতে দুপক্ষেরই লাভ।
সাধারনভাবে আউটসোসিং নামে পরিচিত এই কাজ আপনি করবেন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে। কাজের তালিকা দেখে ঠিক করবেন আপনি কোন কাজ করতে চান, সেজন্য যোগাযোগ করবেন। তারা যদি মনে করে আপনি সেকাজ ঠিকভাবে করতে পারবেন তাহলে তারা কাজ দেবেন।
অনেকগুলি প্রতিস্ঠান ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এধরনের কাজের মধ্যস্থতা করে। আপনি যদি কাজ খোজ করেন তাহলে তাদের সাইটে গিয়ে কাজের তালিকা দেখতে পারেন। আর যারা আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে কাজ করাতে চান তারা তাদের কাজের বর্ননা তাদের সাইটে দিতে পারেন। ফল হিসেবে আপনি যখন কর্মী কথন সেখানে দেখবেন কাজের তালিকা, আর আপনি যখন কাজ করাবেন তখন আপনি দেখবেন কর্মীর তালিকা।
এধরনের কিছু সাইটের পরিচিতি তুলে ধরা হচ্ছে এখানে


www.odesk.com
আউটসোর্সিং কাজের জন্য অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি সাইট। মোট ৯টি ক্যাটাগরীতে অসংখ্য ধরনের কাজ পাওয়া যায় তাদের সাইটে। বিভাগ অনুযায়ী কাজ খুজে সেই কাজের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন।
তাদের সাথে কাজ করার জন্য একটি ফরম পুরন করে সদস্য হতে হবে। আপনি যে বিষয়ে কাজ করতে আগ্রহি সে বিষয়ে পরীক্ষা দেয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। সাধারন সদস্য হিসেবে আপনি সপ্তাহে দুটি কাজের জন্য আবেদন জানাতে পারেন। পরীক্ষা দিয়ে সার্টিফায়েড সদস্য হয়ে সেই সংখ্যা বাড়াতে পারেন।
তারা পারিশ্রমিকের ১০ ভাগ নিজেরা নেয়। অবশ্য কর্মী হিসেবে আপনি সেটা জানার সুযোগ পাবেন না। ১০ভাগ বাদ দেয়ার পর যে পরিমান সেটাই আপনাকে জানানো হবে, কাজেই আপনার হিসেবে তারা আপনার কাছে কোন অর্থ নিচ্ছে না।

www.freelancer.com
আরেকটি জনপ্রিয় সাইট। তাদের সদস্য সংখ্যা প্রায় আড়াই লক্ষ। লোগো ডিজাইন, বিজনেস কার্ড ডিজাইন, ওয়েবসাইট ডিজাইন থেকে শুরু করে ডাটা এন্ট্রি, পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন তৈরী, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন সব ধরনের কাজ পাওয়া যাবে তাদের সাইটে। আপনার কাছে কোন ফি নেয়া হবে না। তবে আপনি যদি তাদের মাধ্যমে কর্মী খোজেন তাহলে ৫ ডলার দিতে হবে।

www.elance.com
এখানে মাসে প্রায় ৫০ হাজার কাজ জমা হয়। প্রোগ্রামিং, ওয়েবসাইট ডিজাইন, গ্রাফিক ডিজাইন, এনিমেশন, ফ্লাশ ডিজাইন, ডাটা এন্ট্রি সব ধরনের কাজ রয়েছে তাদের সাইটে। তাদের সদস্য হোন, কাজের তালিকা দেখুন, কাজের জন্য আবেদন করুন, কাজের অগ্রগতি দেখুন। পুরো কাজই হবে অনলাইনে।

www.vworker.com
আগে নাম ছিল রেন্ট-এ-কোডার, বর্তমান নাম ভার্চুয়াল ওয়ার্কার। অত্যন্ত জনপ্রিয় এই সাইটে ডিজাইন আর্ট এন্ড মাল্টিমিডিয়া, টেকনোলজি, রাইটিং এন্ড ট্রন্সলেশন, বিজনেস সার্ভিসেস, এডমিনিষ্ট্রেটিভ সাপোর্ট ইত্যাদি বিভাগে বহু কাজ রয়েছে এখানে। কাজ জমা দেয়া বা করার জন্য কোন ফি নেই।

www.guru.com
টেকনোলজি, ক্রিয়েটিভ আর্টস এবং বিজনেস প্রধান এই ৩টি বিভাগের মধ্যে রয়েছে অনেকগুলি ভাগে বিভক্ত নানাধরনের কাজ। যেমন ক্রিয়েটিভ আর্টস এর মধ্যে রয়েছে গ্রাফিক ডিজাইন, মাল্টিমিডিয়া, ইলাষ্ট্রেশন, ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি, ফ্যাসন, ইন্টেরিয়র ডিজাইন ইত্যাদি। তাদের কাছে কোন বিষয়ে প্রশ্ন করে উত্তর এবং পরামর্শ পেতে পারেন।
এখানে কাজের জন্য তাদের সদস্য হবেন, প্রোফাইল তৈরী করবেন, যে কাজ করতে চান সেজন্য আবেদন করবেন, কাজশেষে জমা দেবেন এবং পেমেন্ট রিসিভ করবেন।

জনপ্রিয় এই সাইটগুলি ভিজিট করে তাদের সুবিধা-অসুবিধা যাচাই করতে পারেন। এদের বাইরেও আরো অনেক সাইট এধরনের সেবা দেয়। সার্চ করে সেগুলিও দেখতে পারেন। কাজ করার জন্য একজনকে বাছাই করে সেখানে শুরু করাই ভাল। ভালভাবে সাইটের সমস্ত তথ্য পড়ে অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের পর সহজেই যাচাই করা সম্ভব কোথায় সহজে কাজ পাওয়া যায়, পেমেন্ট বেশি পাওয়া যায়, অর্থ লেনদেন সহজ এবং নিশ্চিত ইত্যাদি। তখন প্রয়োজনে একজনের বদলে আরেকজন, কিংবা একাধিক যায়গায় কাজ করা সম্ভব।

www.odesk.com      
www.freelancer.com            
www.elance.com
www.99designs.com

ইন্টারনেটে অর্থ উপার্জন এর জন্য কিভাবে বেশি কাজ পাবেন:
ইন্টারনেটে কাজ করে অর্থ উপার্জন : কিভাবে বেশি কাজ পাবেন
আউটসোর্সিং এর জন্য অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি সাইট ওডেস্ক এর সাম্প্রতিক একটি পরিসংখ্যান দেখুন,
গত ৯০ দিনে তাদের মাধ্যমে কাজ করে মানুষ আয় করেছে ৩ কোটি ৮১ লক্ষ ডলারের বেশি, কাজ জমা পরেছে ৩৬,২৪৩টি, প্রতিটি কাজের জন্য যোগাযোগ করেছে গড়ে ১১.৩ জন।
শেষ সংখ্যাটির দিকে বেশি গুরুত্ব দিন। আপনি সহ ১১ জন হলে বাকি ১০ জনকে প্রতিযোগিতায় পেছনে ফেলে আপনাকে কাজ পেতে হবে। কাজেই আপনাকে দেখাতে হবে আপনি অন্যদের থেকে যোগ্য। কিভাবে সেটা করা সম্ভব দেখে নেয়া যাক।
প্রথম কথা, অবশ্যই দক্ষতা বাড়ানো। যদি গ্রাফিক ডিজাইনকে উদাহরন হিসেবে ধরা যায় তাহলে আপনার প্রয়োজন কাজ ঠিকভাবে করার যোগ্যতা অর্জন করা, ভাল ডিজাইনের বৈশিষ্ট বোঝা, যথেষ্ট পরিমান কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন করা। ডিজাইন এমনই একটি বিষয় যে সম্পর্কে প্রত্যেকেরই নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি থাকে। ফলে একজনের কাছে ভাল মনে হলেও আরেকজনের কাছে ভাল নাও মনে হতে পারে। অনেকেই ভুলে যান অধিকাংশ কাজ হয় ব্যাকরনের মত নিয়ম মেনে। রঙ, কম্পোজিশন, ফন্ট, বক্তব্য সবকিছু মিলিয়ে ভালো ডিজাইন। কখনো ভেবে দেখেছেন কি কোকাকোলা, মাইক্রোসফট এর মত বিশ্বের সেরা লোগোগুলি কত সাধারন। ভালভাবে লক্ষ্য করে দেখুন, শুধুমাত্র লেখা দিয়ে তৈরী এই লোগোগুলি তাদের পরিচিতি সার্থকভাবে তুলে ধরে। কাজেই আপনাকে জটিল কিছু করতে হবে এটা ধরে নেবেন না।
মুলকথা হচ্ছে, ডিজাইন সম্পর্কি বহু বইপত্র পাওয়া যায়। সেখানে যে সুত্রগুলি দেয়া হয়েছে ভালভাবে রপ্ত করা।
ধরে নিচ্ছি আপনি সেটা করেছেন কিংবা চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আপনার যোগ্যতা অন্যকে দেখাবেন কিভাবে যদি দেখানোর সুযোগ না পান। সে কথাগুলি উল্লেখ করার জন্যই এই লেখা।
আউটসোর্সিং সাইটগুলি বলে প্রথম কাজ পাওয়া সবচেয়ে কঠিন। ওডেস্কের হিসেবে প্রথম কাজ পেতে আপনার ৬ সপ্তাহ পর্যন্ত চেষ্টা করতে হতে পারে। আরো ভাল ফল পাওয়ার জন্য এই পদ্ধতিগুলি কাজে লাগান,
আপনার করা ভাল কাজগুলি আপনার প্রোফাইলে জমা রাখুন। সেগুলি দেখে যিনি কাজ দেবেন তিনি আপনার কাজ সম্পর্কে আগাম ধারনা পেতে পারেন।
এধরনের সাইটগুলিতে টেষ্ট দেয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। সেগুলি দিন। এতে আপনার রেটিং বাড়বে ফলে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনাও বাড়বে।
পেশাদারিত্বের পরিচয় দিন। যিনি কাজ দেবেন তার প্রথম লক্ষ্য কাজটি সময়মত হবে, দ্বিতীয়ত কাজটি ভালভাবে হবে, তৃতীয়ত কম টাকায় হবে। এর যে কোনটিতে গড়মিল হলে কাজ পাবেন না। আপনার দায়িত্ব তারকাছ থেকে তিনি ঠিক কি চান সেটা জেনে নিয়ে কাজ করা। এমনভাবে যোগাযোগ করা যেন তিনি আপনাকে বিশ্বাস করতে পারেন। যে কাজ ভালভাবে করতে পারবেন না সেকাজে কখনো হাত দেবেন না। এতে নিজেরই ক্ষতি।
শুরুতেই অর্থকে গুরুত্ব দেবেন না। এধরনের সাইটে কাজ দুভাবে দেয়া হয়, কোনটিতে নির্দিষ্ট টাকার পরিমান উল্লেখ করা থাকে, কোনটিতে প্রতিযোগিতামুলক দাম উল্লেখ করে অন্যদের পেছনে ফেলতে হয়। সমস্যা হচ্ছে, আপনি যদি খুব কমদাম চেয়ে বসেন তারা ধরে নেবে আপনি কাজের যোগ্য নন। আর বেশি চাইলে খরচের কারনে কাজ দেবে না। শুরুতে নির্দিষ্ট খরচের কাজে হাত দেয়াই ভাল।
বেশি বেশি কাজের চেষ্টা করুন। যত বেশি চেষ্টা করবেন কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি। সাধারনত বিনামুল্যে একাউন্ট করলে নিদিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট সংখক আবেদন করা যায়। কিছু ফি দিয়ে সদস্য হলে সেই সুযোগ বাড়ে। কাজ করার সিদ্ধান্তই যদি নিয়ে থাকেন তাহলে কিছু ফি নিয়ে সদস্য হোন। কোন কোন সাইটে পরীক্ষা দিয়ে ভাল করলে বেশি আবেদনের সুযোগ পাওয়া যায়। সেই সুযোগ কাজে লাগান।
এধরনের সাইটে নানাধরনের পরামর্শ দেয়া হয়। ফোরামে বিভিন্ন ব্যক্তি তাদের অভিজ্ঞতার কথা জানান। যতটা সম্ভব এগুলি থেকে জানার চেষ্টা করুন।
যত দিন যাবে আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা তত বাড়তে থাকবে।

ইন্টারনেটে আয় সম্পর্কে ১০টি ভুল ধারনা

ইন্টারনেট ব্যবহার করে অর্থ উপার্জন বর্তমানে অত্যন্ত আলোচিত বিষয়। বিভিন্ন সুত্র থেকে যারা এবিষয়ে খোজখবর নিচ্ছেন তারা প্রায়ই কিছু ভুল ধারনার শিকার হন।  একাজে হাত দেয়ার আগে ভুল ধারনাগুলি সম্পর্কে জেনে নিন।


.          খুব সহজে, বিনা পরিশ্রমে ইন্টারনেটে আয় করা যায়
এটা সবচেয়ে বড় ভুল ধারনা। আপনি আশা করছেন একজন চাকুরীজীবী কিংবা ব্যবসায়ীর থেকে বেশি আয় করবেন অথচ পরিশ্রম করবেন না এটা বাস্তবসম্মত হতে পারে না। ইন্টারনেটে যে পদ্ধতিতেই আয় করুন না কেন, আপনাকে যথেস্ট সময় এবং মেধা ব্যয় করতে হবে।
.          ইন্টারনেটে আয় করা সকলের পক্ষে সম্ভব না
এটা আরেকটা বড় ভুল ধারনা। ইন্টারনেটে কাজ বলতে যেমন দক্ষ প্রোগ্রামিং বুঝায় তেমনি তুলনামুলক সহজ গ্রাফিক ডিজাইন বুঝায়, কিংবা আরো সহজ ডাটা এন্ট্রি বুঝায়। যে কোন শিক্ষিত মানুষের পক্ষে মানানসই কাজ খুজে নেয়া সম্ভব। তবে একথা অবশ্যই ঠিক, দক্ষতা যত বেশি আয়ের সুযোগ তত বেশি। দক্ষতা যেহেতু বাড়ানো যায় সেহেতু সুযোগও বাড়ানো যায়।
.          পেইড-টু-ক্লি (PTC) সহজে আয়ের কার্যকর পদ্ধতি
পিটিসি হচ্ছে কোন ওয়েবসাইটে গিয়ে নির্দিষ্ট লিংকে ক্লিক করবেন আর আপনার নামে টাকা জমা হবে। বিষয়টি সত্যি। তবে যতটা প্রচার করা হয় ততটা না। আপনি কতগুলি ক্লিক করার সুযোগ পাবেন সেটা নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়। কাজ করে টাকা না পাওয়ার অভিযোগও রয়েছে।
.          ইন্টারনেটে আয় করতে নিজের খরচে ওয়েবসাইট তৈরী করতে হয়
একেবারে বিনামুল্যে ওয়েবসাইট তৈরী করা যায়। কাজেই ওয়েবসাইট তৈরী, ডোমেন কিংবা হোষ্টিং এর খরচ ছাড়াই সব কাজ করা সম্ভব। তবে নিজস্ব ডোমেন-হোষ্টিং সবসময়ই ভাল।
.          ক্রেডিট কার্ড বা পে-পল একাউন্ট নেই, ফলে একাজ সম্ভব না
কিছুটা সত্যি। ক্রেডিট কার্ড থাকলে কাজের সুবিধে হয়, পে-পল একাউন্ট থাকলেও সুবিধে হয়। তারপরও মানুষ কাজ করছে এগুলি ছাড়াই। অন্য যে পদ্ধতিগুলি রয়েছে সেগুলি ব্যবহার করে কাজ করা সম্ভব।
.          অনেকগুলি সাইটে অনেকগুলি এডসেন্স ব্যবহার করলে আয় বেশি
এডসেন্সে লাভ দেখে অনেকেই একাধিক এডসেন্স একাউন্ট ব্যবহারে আগ্রহি হন। এটা ভুল পথ। গুগল কোনএকসময় সেটা ধরে ফেলবে এবং সবগুলি একাউন্ট বন্ধ করে দেবে।
.          সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) সফটঅয়্যার ব্যবহার করলে দ্রুত আয় বাড়ে
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের জন্য সফটঅয়্যার ব্যবহার করলে অবশ্যই সাইটের পরিচিতি বাড়ে কিন্তু এডসেন্সকে টার্গেট করে যদি সেটা করেন তাহলে গুগল সেটা পছন্দ করে না। গুগল এমন সাইটে লাভজনক এডসেন্স বিজ্ঞাপন দেয় সেখানে ভিজিটর নিজে আগ্রহি হয়ে যায়। ফলে কোন সাইটে প্রতি ক্লিকে ওয়া যায় কয়েক সেন্ট, কোন সাইটে কয়েক ডলার।
.          ইন্টারনেটে আয়ের জন্য কোন খরচ নেই
বিনামুল্যের সবসময়ই কিছু খারাপ দিক থাকে। ভাল হোষ্টিং, প্রয়োজনীয় সফটঅয়্যার, প্রচারের জন্য এডওয়ার্ডস বিজ্ঞাপন সবকিছুই ভাল আয়ের সহায়ক।
.          ইন্টারনেটে আয়ের ক্ষেত্রে ভৌগলিক সীমারেখা নেই
অনেক সেবার ক্ষেত্রেই অনেক দেশে সীমাবদ্ধতা রয়েছে। বাংলাদেশে যেমন পে-পল ব্যবহার করা যায় না, ক্লিক ব্যাংকে একাউন্ট খোলা যায় না, কোন কোন সাইটে ঢোকা যায় না ইত্যাদি। কোন সেবা কোনদেশে প্রযোজ্য আগে জেনে নেয়াই ভাল।
.           ইন্টারনেটে কিভাবে কাজ করতে হয় শেখার জন্য কোর্স করা প্রয়োজন
আপনি যখন আয় করতে চান ইন্টারনেট ব্যবহার করে, তখন শেখার জন্যও ইন্টারনেট সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন যায়গা। যে বিষয়ই জানতে চান না কেন, ইন্টারনেট সার্চ করলে তথ্য পাওয়া যাবে। বিভিন্ন ওয়েবসাইটের সদস্য হোন, ফোরামে যোগ দিন, সেখানকার বক্তব্যগুলি বোঝার চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে সেখানে সমস্যার কথা জানান। কেউ না কেউ উত্তর দেবেন।




No comments:

Post a Comment