Showing posts with label Internate To Income-ইন্টারনেট থেকে আয় করার পদ্ধতি. Show all posts
Showing posts with label Internate To Income-ইন্টারনেট থেকে আয় করার পদ্ধতি. Show all posts

Friday, March 28, 2014

Internate To Income-ইন্টারনেট থেকে আয় করার:


           এফিলিয়েট মার্কেটিং : ইন্টারনেট থেকে আয় করার পদ্ধতি

এফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে আপনার ওয়েবসাইট ব্যবহার করে অন্য কোম্পানীর ওয়েবসাইটের প্রচার করা এবং বিনিময়ে কমিশন পাওয়া। এই কমিশনের পদ্ধতি বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। সবচেয়ে সাধারন পদ্ধতি হচ্ছে আপনার ওয়েব সাইট থেকে বিজ্ঞাপন দেখে যদি কেউ সেই পন্য কেনে তাহলে। যেমন ধরুন আপনার সাইটে বইয়ের তথ্যের সাথে আমাজনের লিংক রয়েছে। যদি কোন ভিজিটর সেই লিংকে ক্লিক করে আমাজনে যায় এবং সেই পণ্য কেনে তাহলে আপনি বিক্রির ওপর কমিশন পাবেন। আপনি নিশ্চয়ই জানেন আমাজন বিক্রি করে না এমন কোন পন্য নেই।
বিক্রি হওয়া ছাড়াও অন্য ওয়েবসাইটের বিজ্ঞাপন রাখলে সেই লিংকের ওপর ভিজিটর ক্লিক করলে সেকারনেও অর্থ পেতে পারেন। তাদের কাছে এর অর্থ, আপনি তাদের সাইটে ভিজিটর পাঠাচ্ছেন। তাদের ব্যবসায় সহযোগিতা করছেন।
ইন্টারনেটে ব্যবসা করে এমন অধিকাংশ বড় কোম্পানী বিক্রি বাড়ানোর জন্য এফিলিয়েটেড মার্কেটিং পদ্ধতি ব্যবহার করে। যদিও তারা এবিষয়ে সরাসরি প্রচার করে না। সাধারনভাবে তাদের ওয়েবসাইটের নিচের দিকে এবিষয়ে তথ্য পাওয়া যায়। সেখানে Affiliate Program, Affiliates অথবা এধরনের কিছু লেখা থাকে। সেখানে ক্লিক করে এফিলিয়েট রেজিষ্ট্রেশন পেজ পাওয়া যাবে। যেমন উদাহরনের ছবিতে বিশ্বখ্যাত খুচরা বিক্রেতা bestbuy.com এর সাইটের নিচের অংশ দেখুন।
রেজিষ্টেশন পেজে আপনার নাম, ঠিকানা, ফোন নাম্বার, সাইটের তথ্য ইত্যাদি দেবেন। এগুলি দেয়ার পর তাদের অনুমোদনের জন্য কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হতে পারে। প্রায় সব কোম্পানীর এফিলিয়েট প্রোগ্রামের পদ্ধতি মোটামুটি একই।
একটি একটি করে কোম্পানীর এফিলিয়েট প্রোগ্রামে অংশ না নিয়ে এফিলিয়েট নেওয়ার্কেও অংশ নেয়া যায়। এজন্য আপনাকে সেই নেটওয়ার্কের সদস্য হতে হয়, একইভাবে তথ্য দিতে হয়। অনুমোদন হয়ে গেলে আপনি বিভিন্ন কোম্পানীর এফিলিয়েশনের জন্য চেষ্টা করতে পারেন। Commission Junction এধরনের একটি জনপ্রিয় নেটওয়ার্ক।
ইন্টারনেটে আয় করার অন্যান্য পদ্ধতির সাথে এফিলিয়েট মার্কেটিং যোগ করে আয় বাড়াতে পারেন।


By Uzzal Malake

Internate Income-ইন্টারনেটে অর্থ উপার্জনের বহু উপায়

 ইন্টারনেটে অর্থ উপার্জনের বহু উপায় রয়েছে। এই সাইটে প্রায় সবগুলি নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে।

অনেকেই দ্বিধায় পড়েন, কোনটি করবেন কোনটি করবেন না এই নিয়ে। সেইসাথে বাংলাদেশের জন্য স্থানীয় কিছু সমস্যা তো রয়েছেই। অনেক সহজ কাজও জটিল কিংবা অসম্ভব হয়ে দাড়ায় অনেকের কাছে।
ইন্টারনেট ব্যবহার করে অর্থ উপার্জনের সুবিধা-অসুবিধা অনুযায়ী ৫টি পদ্ধতির তুলনামুলক চিত্র তুলে ধরা হচ্ছে এই লেখায়।

. গুগল এডসেন্স
গুগল এডসেন্স সবচেয়ে সেরা উপায় এতে আপত্তি করবেন না কেউই। প্রোগ্রামিং বা এইধরনের কোন ক্ষেত্রে বিশেষ দক্ষতা না থেকেও, নিজে কিছু বিক্রি না করেও মাসে কয়েক হাজার ডলার আয় করা যায়। এমনকি গুগলের ব্লগার ব্যবহার করে কোনরকম খরচ ছাড়াই। প্রয়োজন শুধু সময় ব্যয় করা এবং চারিদিকে দৃষ্টি রেখে নিজের ওয়েবসাইটে ভিজিটর আনার ব্যবস্থা করা।
ভাল ফল পাওয়ার জন্য আপনার প্রয়োজন এমন ওয়েবসাইট যেখানে প্রচুর ভিজিটর ভিজিট করবেন। এধরনের ওয়েবসাইট তৈরী এবং ভিজিটর পেতে কয়েক মাস থেকে কয়েক বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। দৈনিক অন্তত হাজার ভিজিটর না পেলে খুব বেশি আয়ের সম্ভাবনা কম।
গুগল এডসেন্স এর মত আরেকটি ব্যবস্থা রয়েছে চিতিকা (chitika) নামে। ব্যবহারের পদ্ধতি এডসেন্স এর মতই।

. এফিলিয়েটেড মার্কেটিং
অনেকে বলেন এফিলিটেড মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে সীমা হচ্ছে আকাশ। আপনি যত চেষ্টা করবেন তত বেশি আয় করবেন। আপনার কাজ হচ্ছে ইন্টারনেটে যারা কিছু বিক্রি করে (পন্য বা সেবা) তাদের প্রচার করা। নিজের ওয়েবসাইট থাকলে সুবিধে বেশি, না থাকলেও অন্যভাবে করা যায়। কোন কোন কোম্পানী টাকা দেয় তাদের সাইটে ভিজিটর পাঠানেই, কোন কোম্পানী দেয় সেই ভিজিটর কিছু কিনলে। ৭৫% পর্যন্ত কমিশন দেয়ার মত কোম্পানী/বিষয়ও রয়েছে। আমাজন, -বে এর মত প্রতিস্ঠানের সহযোগিতা পাওয়া যায় এফিলিয়েটেড মার্কেটিং কাজে।
এফিলিয়েটেড মার্কেটিং এর জন্য নিজস্ব ওয়েবসাইট থাকলে বেশি সুবিধে পাবেন। শুধুমাত্র এই কাজের জন্যই বিনামুল্যে ওয়েবসাইট তৈরী, সেখানে বিভিন্ন পন্য যোগ করার ব্যবস্থা রয়েছে। যদিও এই ব্যবস্থায় আয় বেশি তারপরও এডসেন্সর এর পর ২য় অবস্থানে থাকার কারন একাজে বুদ্ধিমত্তা, মার্কেটিং এর দক্ষতা এবং পরিশ্রম বেশি।

. ফ্রিল্যান্সিং 
আপনি ওয়েবসাইট তৈরী কিংবা মার্কেটিং এর ঝামেলায় যেতে চান না, অথচ কম্পিউটারের কোন কাজে দক্ষ। সেটা ফটোশপ ব্যবহার করে গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন থেকে শুরু করে, প্রোগ্রামিং থেকে ডাটা এন্ট্রি, ভিডিও এডিটিং কিংবা এনিমেশন যে কোন কিছুই হতে পারে। তাহলে আপনার জন্য ফ্রিল্যান্সিং। কাজ দেয়ার ক্ষেত্রে মধ্যস্থতা করার জন্য রয়েছে অনেকগুলি প্রতিস্ঠান। সেখানে নিজের নাম তালিকাভুক্ত করবেন (কোন খরচ নেই), তাদের কাজের তালিকা দেখে এপ্লাই করবেন, তারা আপনার দক্ষতায় সন্তুষ্ট হলে কাজের অনুমতি দেবে। আপনি কাজ করে জমা দেবেন এবং আপনার একাউন্টে সেই কাজের পারিশ্রমিক জমা হবে।
ফ্রিলান্সিং কাজে পেমেন্ট দেয়া হয় ঘন্টাপ্রতি অথবা নির্দিষ্ট কাজ অনুযায়ী এককালীন চুক্তি অনুযায়ী। কাজের জটিলতা অনুযায়কয়েক ডলার থেকে কয়েক হাজার ডলার পর্যন্ত হতে পারে এই চুক্তি। মধ্যস্থতাকারী থাকে বলে টাকা হাতছাড়া হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
www.freelancer.com , www.odesk.com  ইত্যাদি এধরনের কাজে বড় প্রতিস্ঠান।

. নিজে বিক্রি করা
নিজে বিক্রি করলে লাভ বেশি, সেইসাথে পরিশ্রমও বেশি। সেকারনে লাভ বেশি থাকার পরও একে নম্বরে রাখতে হচ্ছে।
আপনি কিছু পন্য ঠিক করবেন, সেগুলি তৈরী করবেন অথবা অন্যের কাছ থেকে কিনবেন, এরপর ওয়েবসাইটে রেখে দেবেন। যিনি কিনতে চান তিনি সেখানে ক্লিক করে কিনবেন, আপনি সেটা তারকাছে পাঠিয়ে দেবেন। ফটোগ্রাফ, -বুক, সফটঅয়্যার এর মত পন্য সরাসরি ইমেইল করে পাঠাতে পারেন কিংবা ডাউনলোডের ব্যবস্থা রাখতে পারেন। ছাপা বই বা অন্য পন্য হলে পার্সেল করে পাঠাতে হবে। সারা বিশ্বের মানুষই কেনাকাটা করে অনলাইনে। কাজেই এই মুহুর্তে বাংলাদেশের মত দেশে বিষয়টি চালু না থাকলেও একসময় হবে।

. অনলাইন বিজ্ঞাপন
জনপ্রিয় ওয়েবসাইটে এডসেন্স এর মত বিজ্ঞাপন রাখতে হবে এমন কথা নেই, ছাপানো পত্রিকায় যেমন বিজ্ঞাপন দেয়া হয় সেভাবে বিজ্ঞাপন প্রচার করে অর্থ উপার্জন করা সম্ভব। আমেরিকায় ছাপানো বিজ্ঞাপনের আয়কে ছাড়িয়ে গেছে অনলাইন বিজ্ঞাপন।
মুলত পত্রিকার মত সাইটের জন্য এই ব্যবস্থা সুবিধেজনক। একাজে সমস্যা হচ্ছে ব্যক্তিগতভাবে করা যায় না, প্রতিস্ঠান হিসেবে কাজ করতে হয়। তবে সেটা সংবাদপত্র হতে হবে এমন কথা নেই। মানুষের আগ্রহ রয়েছে এমন বিষয় নিয়ে ওয়েবসাইট হতে পারে। যেমন বিভিন্ন পণ্যের পরিচিতি এবং দাম নিয়ে যেমন মানুষের আগ্রহ সেই বিষয় নিয়েই অনেকগুলি বিশ্বখ্যাত ওয়েবসাইট রয়েছে। চাকরী বা অন্য তথ্য নিয়ে সাইটও লক্ষ লক্ষ ভিজিটর পেতে পারে।


By Uzzal Malake