Money Withdraw


ওডেস্ক থেকে সরাসরি টাকা তুলুন আপনার ডাচ বাংলা ব্যাংক মোবাইল অ্যাকাউন্ট কোন ঝামেলা ছাড়াই!

অনেকেই জানেন না যে, ওডেস্ক থেকে ডাচ বাংলা মোবাইল বাংকে উইখড্রো দেওয়া যায়। তাদের জন্য আমার এই পোষ্ট। বিশেষ করে যারা শহর থেকে দূরে আছেন এবং আশে পাশে সকল ব্যাংক সহজলভ্য নয় এবং যাদের আইডি ভেরিফাইড করা হয় নাই, তাদের জন্য আমি মনে করি সর্বাধিক উপযোগী পদ্বতি হল ডাচ বাংলা মোবাইল ব্যাংকিং টাকা উইথড্রো দেয়া। এছাড়াও এর নানাবিধ সুবিধাও রয়েছে। চলুন তবে শুরু করা যাক


*** প্রথমে ডাচ বাংলা মোবাইল ব্যাংকে একটা একাউন্ট করে নিন। আপনার কলেজের আইডি দিয়েও এই একাউন্ট করতে পারবেন। খরচ পরবে মাত্র ১০০ টাকা যার মধ্যে আপনি ৪০ টাকা চাইলে তুলে নিতে পারেন একাউন্ট একটিভ হবার সাথে সাথে একটিভ হবে কর্মদিবসের মধ্যেই

*** এবার ওডেস্কে গিয়ে Wallet থেকে add withdrawal method ক্লিক করুন।এখান থেকে Local Fund Transfer ক্লিক করুন। Bank SWIFT Code চাইবে। সেখানে ডাচ বাংলা ব্যাংকের সুইফট কোড   DBBLBDDH  দিয়ে Go তে ক্লিক করুন। দেখবেন অটোমেটিকভাবে ডাচ বাংলা বাংকের ঠিকানা শো করতেছে

*** নিচের দিকে আপনার কাঙ্খিত সমস্ত তথ্য দিয়ে সাবমিট করুন। একাউন্ট নাম্বারের স্থানে আপনার ডাচ বাংলা মোবাইল ব্যাংকের ১২ ডিজিটের নাম্বার টা দিন(আপনার ১১ সংখ্যার মোবাইল নাম্বার + একটা চেক ডিজিট) ব্রাঞ্চ এবং ব্রাঞ্চ এড্রেস এর জায়গায় আপনি যে উপজেলা  ব্রাঞ্চ এর আওতাধীন ব্রাঞ্চের নাম এড্রেস দিন। পরবর্তী ফিল্ড গুলো পুরন করুন। এবার এড দিস একাউন্ট ক্লিক করুন। ব্যাস হয়ে গেল

তিন দিন সময় নিবে একটিভ হতে। একটিভ হয়ে গেলেই উইখড্রো দিতে পারবেন। টাকা সরাসরি আপনার মোবাইল ব্যাংকের একাউন্টে জমা হবে
তথ্যসূত্র- ইন্টারনেট
ভাল থাকবেন সবাই। আল্লাহ্‌ হাফিজ


ইন্টারনেটে টাকা আয় : অর্থ আদান-প্রদানের বিভিন্ন পদ্ধতি

ইন্টারনেটের মাধ্যমে কিছু বিক্রি করুন, অথবা পিটিসি, ডাটা এন্ট্রি থেকে শুরু করে গ্রাফিক ডিজাইন বা প্রোগ্রামিং এর কাজ করুন, টাকা হাতে পাওয়ার জন্য আপনার প্রয়োজন অনলাইন পেমেন্ট ব্যবস্থা। বাংলাদেশে কাজটি খুব সহজ না। বাংলাদেশে ভিসা-মাষ্টারকার্ডের মত আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ডের প্রচলন নেই। এর বাইরে পে-পলের মত অনেক সেবাই বাংলাদেশ থেকে ব্যবহার করা যায় না।

অনলাইনে লেনদেনের বিভিন্ন পদ্ধতির একটি চিত্র তুলে ধরা হচ্ছে এখানে।
পে-পল : সহজে অর্থ লেনদেনের সবচেয়ে জনপ্রিয় পদ্ধতি। তাদের সাইটে গিয়ে বিনামুল্যে একাউন্ট করা যায় (বাংলাদেশসহ কিছু দেশ বাদে) লেনদেনের জন্য শুধুমাত্র -মেইল এড্রেস ব্যবহার করতে হয়। অর্থাত আপনি যারকাছে টাকা পাবেন তাকে -মেইল এড্রেস জানালে তিনি আপনার একাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দিতে পারেন। একইভাবে কোথাও অর্থ দেয়া প্রয়োজন হলে (যেমন সার্ভার ভাড়া করা বা সফটঅয়্যার কেনা) আপনি পে-পল একাউন্ট থেকে টাকা দিতে পারেন। কিংবা অনলাইনে কিছু কিনতে পারেন।
প্রায় সব কোম্পানী এই ব্যবস্থা ব্যবহার করে। বাংলাদেশ থেকে পে-পলের সদস্য হওয়া যায় না। সরকার এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে জানালেও বাস্তবে সেটা এখনো হয়নি।
মানিবুকারস : পে-পলের মত একই ধরনের আরেকটি প্রতিস্ঠান। এখানেও ইমেইল এড্রেস ব্যবহার করে কা লেনদেন করা হয়। বাংলাদেশে মানিবুকারস ব্যবহার করা যায়্ তবে এর জনপ্রিয়তা এবং ব্যবহার পে-পলের থেকে কম। ফলে যে কোম্পানী এই ব্যবস্থা ব্যবহার করে কেবলমাত্র তাদের সাথে লেনদেনের কাজ করতে পারেন। সদস্য হতে টাকা দিতে হয় না, তবে প্রতিটি লেনদেন থেকে সার্ভিস চার্জ হিসেবে কিছু টাকা কেটে নেয়া হয়। নিজস্ব ব্যাংক একাউন্ট থেকে এখানে জমা হওয়া টাকা উঠানো যায়।
এলার্ট-পে : এটাও ইমেইল এড্রেস ব্যবহার করে টাহা স্থানান্তরের পদ্ধতি। তাদের একাউন্টে জমা হওয়া টাকা ব্যাকের মাধ্যমে কিংবা চেক, অয়্যার ট্রান্সফার, ডেবিট-ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে উঠানোর যায়। এছাড়া কয়েকটি দেশের জন্য তাদের নিজস্ব কার্ড রয়েছে।
বাংলাদেশ থেকে এলার্ট-পে ব্যবহার করা যায়। এর ধরনের একাউন্ট রয়েছে। পারসোনাল ষ্টার্টার বিনা খরচেন, বাংলাদেশের জন্য টাকা পেতে পারসোনাল প্রো তে .% + .২৫ ডলার এবং বিজনেস একাউন্টে .% + .২৫ ডলার ফি দিতে হয়। টাকা পাঠানোর সময় কোন খরচ নেই।
অয়্যার ট্রান্সফার : এক ব্যাংক থেকে আরেক ব্যাংকে টাকা পাঠানোর পদ্ধতি। আপনি যারকাছে অর্থ পাবেন তিনি তার ব্যাংক একাউন্ট থেকে টাকা পাঠাবেন। সেটা জমা হবে আপনার ব্যাংক একাউন্টে। দেশ এবং অর্থপরিমান ইত্যাদি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে লেনদেনের জন্য ফি দিতে হয়।
ওয়েষ্টার্ন ইউনিয়ন : ওয়েষ্টার্ন ইউনিয়ন ব্যবহার করে অনলাইনে বা ফোনের মাধ্যমে টাকা লেনদেন করা যায় কিংবা অনলানে বিল দেয়া, কেনাকাটা করা যায়। একাজ করতে হয় তাদের কোন এজেন্ট (ব্যাংক) এর মাধ্যমে। টাকা প্রদানের জন্য নির্দিষ্ট কোড ব্যবহার করা হয় বলে লেনদেন নিরাপদ।
ব্যাংক চেক : আপনার নামে সরাসরি ব্যাংক চেক পাঠানো হবে। আপনি স্থানীয় ব্যাংক থেকে তার বিপরীতে টাকা উঠাতে পারেন। গুগল, চিতিকা এবং আরো কিছু কোম্পানী এই ব্যবস্থা ব্যবহার করে। সমস্যা হচ্ছে, চেক হারিয়ে যেতে পারে, হাতে পেতে দেরী হতে পারে। গুগলের এমন ব্যবস্থা রয়েছে যেখানে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে কুরিয়ারের মাধ্যমে চেক নিতে পারেন। এতে দ্রুত চেক পাওয়া যায়।
ক্রেডিট কার্ডের সাথে গুগলের চেক-আউট একটি জনপ্রিয় পদ্ধতি। এগুলি ছাড়াও এধরনের আরো বেশকিছু পদ্ধতি রয়েছে যার মাধ্যমে অনলানে অর্থ লেনদেন করা যায়। ........................

অর্থ উপার্জন করে টাকা কিভাবে হাতে পাবেন:
ইন্টারনেটে কাজ করে অর্থ উপার্জনের জন্য আপনার পক্ষে যাকিছু করা সম্ভব সবই আপনি করলেন। যা জানা প্রয়োজন জানলেন, টাকা খরচ করে ইন্টারনেট সংযোগ নিলেন, ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আউটসোর্সিং  সাইটে গিয়ে কাজ নিলেন, সেটা করে জমাও দিলেন। এরপর আপনার হিসেবের পালা। আপনি টাকা পাবেন কিভাবে। এখানে যেহেতু আপনার সব ইচ্ছাই যথেষ্ট না সেহেতু আগেই হিসেব করে নেয়া ভাল।
আগে দেখে নেয়া যাক তারা দেয় কিভাবে।
সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হচ্ছে ভিসা-মাষ্টারকার্ডের মত ক্রেডিট কার্ড। তারা আপনার নামে টাকা জমা দিতে পারে সাথেসাথেই, আপনিও সাথেসাথেই সেটা পাবেন। উন্নত দেশগুলিতে মানুষ কেনাকাটা থেকে শুরু করে ট্যাক্সিভাড়া পর্যন্ত দেয় ক্রেডিটকার্ডের মাধ্যমে। কাজেই তারা এই পদ্ধতি বেশি ব্যবহার করবে সেটাই স্বাভাবিক।
বাংলাদেশের বাস্তবতা ভিন্ন। এখানে ক্রেডিট কার্ড নামের একটি বস্তু পকেটে নিয়ে বেড়াতে পারেন, টাকার বদলে সেটা দিতে পারেন না। সেটা থেকে টাকা বানিয়ে সেই টাকা নিয়ে দোকানে ঢুকতে হয়।
আরেক পদ্ধতি হচ্ছে পে-পল এর মত অর্থ লেনদেনকারী প্রতিস্ঠানের সাহায্য নেয়। শুধুমাত্র ইমেইল ব্যবহার করে বিনামুল্যেই সেখানে একাউন্ট খোলা যায়। টাকা আপনার একাউন্টে জমা হবে। আপনি স্থানীয় ব্যাংক থেকে সেটা উঠিয়ে নেবেন। এই পদ্ধতিও তুলনামুলক দ্রুতই।
বাংলাদেশের বাস্তবতা হচ্ছে, বাংলাদেশে পে-পল ব্যবহারে সরকারের অনুমতি নেই। পে-পল ওয়েবসাইটে বাংলাদেশের নাম খুজে পাবেন না। এবিষয়ে সরকারের সর্বশেষ বক্তব্য, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। আপনি এই আশ্বাসের ওপর নির্ভর করে অপেক্ষা করে জীবন পার করতে পারেন।
আরেক পদ্ধতি হচ্ছে অয়্যার ট্রান্সফার ওয়েষ্টার্ন ইউনিয়নের মত প্রতিস্ঠানের মাধ্যমে টাকা গ্রহন করা যায়। এই পদ্ধতিও বেশ দ্রুত। তবে এজন্য টাকা দিতে হয়।
আরেক পদ্ধতি হচ্ছে প্রচলিত ব্যাংক চেক গ্রহন করা। তারা আপনার নামে চেক পাঠাবে আপনি সেই চেক ব্যবহার করে ব্যাংক থেকে টাকা উঠাবেন। এতে সময় বেশি প্রয়োজন হয়, চেকের জন্য আলাদা ফি দিতে হয়। সবচেয়ে বড় কথা, সকলে এই পদ্ধতি ব্যবহার করে না। আপনি যদি গুগলের কাছে টাকা পান তারা আপনার নামে চেক পাঠাবে, ছোট প্রতিস্ঠান কিংবা ব্যক্তিগত পর্যায়ে সাধারনত এই ঝামেলায় যাবে না। কাজেই আপনার সামনে সুযোগ খুব বেশি নেই।
এবারে দেখা যাক যারা ইতিমধ্যে কাজ করছেন তারা কি করেন।
কেউ কেউ অন্যের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন। অর্থাত পরিচিত কারো ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের সুযোগ থাকলে তার নাম্বার ব্যবহার করে সেখানে টাকা জমা করা। তাকে অবশ্যই এতটা বিশ্বস্ত হতে হয় যে টাকার হিসেবে গড়মিল করবে না। আরেকটি বিষয় হচ্ছে উন্নত দেশগুলিতে সবধরনের লেনদেন যাচাই করা হয়। যদিও বিষয়টি অবৈধ পর্যায়ে যায় না তাহলেও অনেকেই ঝামেলায় যেতে চান না।
পে-পল ব্যবহার যেহেতু সহজ বলে অন্য দেশে করা পে-পল একাউন্ট ব্যবহার করেন কেউ কেউ। এখানেও সমস্যা একই। আপনার নিজেকেই বিদেশে একাউন্ট করতে হয় অথবা অন্যের ওপর নির্ভর করতে হয়। পে-পলের নিয়ম অনুযায়ী একজনের একাউন্ট অন্যজন ব্যবহার নিষিদ্ধ। তারা জানলে একাউন্ট বন্ধ করে দেবে।
এলার্ট-পে আরেকটি জনপ্রিয় পদ্ধতি যা খুব সহজে ব্যবহার করা যায়। পিটিসি সাইট এবং এফিলিয়েশন এর পেমেন্ট সাধারনত এভাবে নেয়া যায়। ওডেস্ক,ফ্রিল্যান্সার, স্ক্রিপ্টল্যান্স এই পদ্ধতি ব্যবহার করে না। যেখানে এলার্ট-পে ববহার করা যায় সেখানে এলার্ট পে ব্যবহার করুন। www.alertpay.com এখানে ক্লিক করে সদস্য হতে পারেন।
বাংলাদেশে যারা কাজ করেন তাদের প্রচলিত একটি পদ্ধতি হচ্ছে মানিবুকারস ব্যবহার করা। মানিবুকারস (www.moneybookers.com) পে-পলের মত একই ধরনের সেবা দেয়। তাদের সেবার মানও উন্নত (পে-পলের বিরুদ্ধে নানারকম অভিযোগ রয়েছে)। যেহেতু অনেকেই এই পদ্ধতি ব্যবহার করছেন সেহেতু এটাই ভালভাবে জেনে নিন।
আপনার প্রয়োজন স্থানীয় একটি ব্যাংক একাউন্ট। ব্যাংকের কাছে আগে জেনে নিন তারা এই পদ্ধতি ব্যবহার করে কি-না। ডাচ-বাংলা ব্যাংক থেকে এই পদ্ধতিতে টাকা উঠানো যায় এটুকু নিশ্চিত করতে পারি।
প্রয়োজন একটি ইমেইল এড্রেস।
এটুকুই। এরপর মানিবুকারস সাইটে গিয়ে নিজের তথ্য দিয়ে নামে একটি একাউন্ট খুলুন। আন্তর্জাতিক অর্থ লেনদেনের জন্য সুইফট কোড নামে একটি কোড ব্যবহার করা হয়। ডাচবাংলা ব্যাংকের জন্য এই কোড DBBLBDDH। অন্য ব্যাংক হলে সেই ব্যাংকের কোড জেনে নিন। এই কোড ব্যবহার করে ব্যাংক একাউন্ট যোগ করুন।
মানিবুকারস এ একাউন্ট তৈরীর কোন খরচ নেই।
টাকা জমা হলে মানিবুকারস ওয়েব সাইটের উইথড্র থেকে টাকা উঠানোর চেষ্টা করুন। আপনাকে ঠিকানা/ব্যাংক ভেরিফাই করতে বলবে। সেটা করুন। অথবা, ভেরিফিকেশন ছাড়া ১৫ ডলার উঠানো যায়, কাজেই ১৫ ডলারের নিচে উঠান। তারা আপনার ব্যাংকে ভেরিফিকেশন কোড পাঠাবে।
আপনার ব্যাংকে এই তথ্য যেতে ১ থেকে ২ সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। ব্যাংকে গিয়ে আপনার কোডটি নিন এবং মানিবুকারস এর সাইটে গিয়ে সেটা ব্যবহার করুন।
এরপর প্রতি ৯০ দিনে ২০০০ ডলারের বেশি পর্যন্ত গ্রহন করতে পারবেন এই একাউন্ট ব্যবহার করে। অর্থের পরিমান যাই হোক, মানিবুকারস প্রতি লেনদেনের জন্য ২.১৬ ডলার কেটে রাখবে সার্ভিস চার্জ হিসেবে। এটা সামান্যই।

প্রতিকুলতা যতই থাক, কাজ করা সম্ভব। চাকরী বা ব্যবসার চিন্তা করে, অন্যের জন্য অপেক্ষায় সময় নষ্ট না করে নিজেই কিছু করার চেষ্টা করুন। অনেকেই করছে।
................................
 
মানিবুকারস - অর্থ লেনদেনের সহজ নিরাপদ পদ্ধতি

মানিবুকারস (www.MoneyBookers.com) হচ্ছে ইউরোপের একটি অন্যতম প্রধান অনলাইনে অর্থ লেনদেনের প্রতিষ্ঠান। এটি যুক্তরাজ্যের দ্রুত প্রসারমাণ প্রাইভেট টেকনোলজি কোম্পানির মধ্যে প্রথম দশের মধ্যে রয়েছে। ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই প্রতিষ্ঠানটির দ্রুত উন্নতি ঘটছে। এর বাসরিক লেনদেনের পরিমাণ . বিলিয়ন ইউরো এর উপরে। ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠানটিকে আগের বছরের তুলনায় দ্বিগুণ লাভ করেছে, যা একে বিশ্বের একটি সফল অর্থ লেনদেনের প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে। বর্তমানে মানিবুকারসের নব্বই লক্ষ একাউন্ট হোল্ডার রয়েছে। এটি বাংলাদেশসহ বিশ্বের ইশতটিরও বেশি দেশে ৮০ প্রকারের অর্থ লেনদেনের সুবিধা প্রদান করে। ৪৫ হাজারেরও বেশি মার্চেন্ট প্রতিষ্ঠান মানিবুকারের মাধ্যমে অনলাইনে সার্ভিস দিয়ে থাকে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে eBay.com, Skype.com, GetAFreelancer.com, MochiMedia.com এবং ThemeForest.com মানিবুকারস কতটা জনপ্রিয় তার একটি দৃষ্টান্ত হচ্ছে, বর্তমানে প্রতিদিন ১২ হাজারের উপর নতুন ব্যবহারকারী মানিবুকারসে রেজিষ্ট্রেশন করে।

মানিবুকারসকে ধরা হয় পেপালে প্রধান বিকল্প হিসেবে। বিশেষ করে যেসকল দেশে পেপালের কোন সাপোর্ট নেই সেসব দেশের জন্য মানিবুকারস একটি আদর্শ মাধ্যম। এটি পেপালের মতই নিরাপদ, দ্রুত এবং সাশ্রয়ী অর্থ লেনদেনের পদ্ধতি। এর মাধ্যমে একজন ব্যবহারকারী থেকে অপর আরেকজনের কাছে মূহুর্তের মাধ্যে অর্থ লেনদেন করা যায়। এতে খরচ পড়ে সর্বোচ্চ . ইউরো। অর্থ লেনদেনের জন্য প্রাপকের নাম বা ব্যাংক একাউন্ট কিছুই জানার প্রয়োজন নেই, কেবল তার ইমেইল ঠিকানাটিই যথেষ্ঠ। মানিবুকারস দিয়ে খুব সহজেই ২০ হাজারের উপর ইকমার্স ওয়েবসাইট থেকে অনলাইনে কেনাকাটা করা যায়। মানিবুকারসকে আপনার ওয়েবসাইটের সাথে যুক্ত করে আপনি নিজেই একটি ইকমার্স সাইট চালু করতে পারবেন। বর্তমানে বেশিরভাগ ফ্রিল্যান্সি মার্কেটপ্লেসে মানিবুকারস সাপোর্ট করে। এক্ষেত্রে তুলনামূলকভাবে কম খরচ পড়ে, মাত্র .% ফ্রিল্যান্সিং সাইট ছাড়া কোন ব্যক্তি থেকে অর্থ গ্রহণের জন্য কোন ফি দিতে হয় না। মানিবুকারসের একাউন্ট থেকে নিজের ব্যাংকে টাকা নিয়ে আসতে মাত্র .৬৫ ডলার খরচ পড়ে।

রেজিষ্ট্রেশন করার পদ্ধতি:
মানিবুকারস রেজিষ্ট্রেশন অত্যন্ত সহজ, যা কয়েক মিনিটের মধ্যেই সম্পন্ন হয়ে যায়। তবে মানিবুকারসের সম্পূর্ণ সুবিধা পেতে হলে কয়েকটি বিষয় নিশ্চিত করতে হবে। মানিবুকারসের নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য এটি প্রত্যেক ব্যবহারকারীকে তিনটি পদ্ধতিতে যাচাই করে থাকে। এগুলো হচ্ছে - ঠিকানা যাচাই, ব্যাংক একাউন্ট যাচাই এবং ক্রেডিট/ডেবিট কার্ড যাচাই। তৃতীয় পদ্ধতিটি হচ্ছে ঐচ্ছিক, তবে প্রথম দুটি অবশ্যই সম্পন্ন করতে হবে।

ঠিকানা নিশ্চিত করা:
লগইন করার পর My Account পৃষ্ঠায় Account Status অংশ থেকে Address Verify লিংকে ক্লিক করুন। পরবর্তী পৃষ্ঠায় আপনার ঠিকানাটি দেখাবে, এরপর "Send me a verification letter" বাটনে ক্লিক করুন। মানিবুকারস আপনার ঠিকানায় একটি চিঠি পাঠাবে। চিঠিটি আসতে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। চিঠিতে আপনাকে ছয়টি সংখ্যার একটি কোড পাঠানো হবে। কোডটি পাবার পর সাইটে লগইন করে "My Account" > "Profile" পৃষ্ঠায় গিয়ে আপনার ঠিকানার পাশের "Verify" লিংকে ক্লিক করুন। তারপর সেই কোডটি জমা দিন। এরপর আপনি মানিবুকারসের মাধ্যমে অর্থ লেনদেন শুরু করতে পারবেন।

ব্যাংক একাউন্ট যোগ করা:
মানিবুকারস থেকে আপনার ব্যাংকে অর্থ উত্তোলন করতে হলে My Account থেকে প্রথমে একটি ব্যাংক যোগ করে নিন। এক্ষত্রে আপনার ব্যাংকের SWIFT কোড, ব্যাংকের ঠিকানা, আপনার ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার ইত্যাদি দিতে হবে। মানিবুকারসে ব্যাংক একাউন্ট যোগ করার সাথে সাথে আপনি ব্যাংকে অর্থ উত্তোলন করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে মানিবুকারস আপনার ব্যাংক একাউন্টটি যাচাই করতে বলবে। ব্যাংক একাউন্ট যাচাই করার জন্য ব্যবহারকারীর ব্যাংক থেকে মানিবুকরসের একাউন্টে সামান্য পরিমাণ অর্থ ( থেকে ১০ ডলার) প্রেরণ করতে হয়। তবে বাংলাদেশের আইনের জন্য কোন ব্যাংক থেকেই মানিবুকারসে কোন টাকা পাঠাতে পারবেন না। এক্ষত্রে নিচের পদ্ধতিটি অনুসরণ করুন -

১। কোন ফ্রিল্যান্সিং সাইট থেকে অর্থ পাবার পর মানিবুকারস দিয়ে একবার উত্তোলন করুন। ব্যাংক একাউন্ট যাচাই না করেও আপনি দুইবার অর্থ উত্তোলন করতে পারবেন। এজন্য লগইন করে Withdraw লিংকে ক্লিক করুন।
| টাকা ব্যাংকে জমা হবার পর ব্যাংক থেকে বিগত ছয় মাসের একটি ব্যাংক স্টেটমেন্ট চেয়ে নিন।
৩। ব্যাংক স্টেটমেন্টের মধ্যে মানিবুকারস থেকে আপনি যে অর্থ পেয়েছেন তার তারিখ এবং ডলারের পরিমাণ দেখতে পাবেন। কিন্তু এই ডলার কার কাছ থেকে এসেছে তা উল্লেখ থাকবে না। এজন্য আপনাকে ওই লেনদেনের SWIFT Transaction নামক আরেকটি কাগজ সংগ্রহ করতে হবে। সাধারণত ব্যাংক এই কাগজটি আপনাকে দিতে চাইবে না। কিন্তু আপনি যদি পুরো বিষয়টি তাদেরকে বুঝিয়ে বলতে পারেন তাহলে তারা আপনাকে কাগজটির ফটোকপি দিতে সম্মত হবে। প্রকৃতপক্ষে আপনি যে ঘরে বসে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে তা জানতে পারলে তারা খুশি হয়েই আপনাকে সাহায্য করবে।
৪। ব্যাংকের যথাযথ কর্তৃপক্ষ দ্বারা কাগজগুলো সত্যায়িত করার পর এগুলোকে স্ক্যান করে কম্পিউটারে নিয়ে নিন। সাথে আপনার পাসপোর্টও স্ক্যান করে নিন।
| এরপর merchantservices@moneybookers.com ঠিকানায় ইমেইল এটাচমেন্ট করে এগুলো পাঠিয়ে দিন। ইমেইলের Subject হিসেবে Manual Bank Account Verification উল্লেখ করুন এবং তাদেরকে জানিয়ে দিন বাংলাদেশ থেকে যেহেতু কোন টাকা মানিবুকারসে পাঠানো সম্ভব নয় তাই আপনি ব্যাংক স্টেটমেন্ট এবং সংশ্লিষ্ট কাগজের স্ক্যান কপি ইমেইলের সাথে পাঠাচ্ছেন। তারা যেন Manually আপনার ব্যাংক একাউন্ট যাচাই করে নেয়।
৬। ইমেইল পাঠানোর থেকে সপ্তাহের মধ্যে আপনি মানিবুকারস থেকে ইমেইল পাবেন। সবকিছু উপরে উল্লেখিত নিয়ম অনুযায়ী করতে পারলে মানিবুকারস কর্তৃপক্ষ আপনার ব্যাংক একাউন্টটি নিশ্চিত করে নিবে। এরপর আপনি মানিবুকারসের সকল সুবিধা নিরবিচ্ছিন্নভাবে উপভোগ করতে পারবেন।

ক্রেডিট/ডেবিট কার্ড যোগ করা:
যাদের ক্রেডিট/ডেবিট কার্ড রয়েছে তারা ইচ্ছে করলে মানিবুকারসে কার্ডটি যোগ করে কার্ডের টাকা মানিবুকারসে নিয়ে যেতে পারবেন। বর্তমানে অনেকেরই পেওনার প্রদত্ত ডেবিট মাস্টারকার্ড রয়েছে। এই কার্ডের নানাবিধ সুবিধা রয়েছে। তবে এই কার্ডের টাকাকে শুধুমাত্র ATM থেকে ক্যাশ হিসেবে উত্তোলন করতে হয়, ব্যাংকের সাথে এর কোন যোগাযোগ নেই। আপনি যদি কার্ডের টাকাকে আপনার ব্যাংকে জমা রাখতে চান তাহলে ATM থেকে টাকা নিয়ে ব্যাংকে গিয়ে জমা দিতে হবে। ATM থেকে এক দিনে একটি নির্দিষ্ট অংকের বেশি অর্থ উত্তোলন করতে পারবেন না। ফলে বড় অংকের অর্থের ক্ষেত্রে কয়েকদিনে টাকা জমা দিতে হবে, যা ঝামেলাপূর্ণ এবং নিরাপদও নয়। মানিবুকারসের মাধ্যমে সেই কাজটি ঘরে বসেই কয়েকটি ক্লিকের মাধ্যমেই করতে পারবেন। এজন্য প্রথমে আপনার মাস্টারকার্ডটি মানিবুকারসে যোগ করুন। কার্ডটি সঠিকভাবে যাচাই হবার পর উপরের মেনু থেকে Upload Funds লিংকে ক্লিক করে Credit Card অপশনটি সিলেক্ট করুন। এরপর আপনার কার্ডের পেছনে লেখা তিনটি সংখ্যার CVV2 কোড দিন এবং কত টাকা কার্ড থেকে মানিবুকারসে নিতে চান তা উল্লেখ করুন। Next বাটনে ক্লিক করার সাথে সাথেই কার্ড থেকে মানিবুকারসের একাউন্টে টাকা জমা হয়ে যাবে। এরপর মেনু থেকে Withdraw লিংকে ক্লিক করে এই টাকা আপনার ব্যাংক একাউন্টে প্রেরণ করুন। কার্ড থেকে মানিবুকারসে টাকা আনতে .% চার্জ যুক্ত হবে, যা মাস্টারকার্ডের মাধ্যমে টাকা উত্তোলনের চেয়ে স্বাশ্রয়ী। কারণ পেওনারের মাস্টারকার্ড থেকে ATM এর মাধ্যমে প্রতিবার টাকা উত্তোলন করতে % চার্জ দিতে হয়।


মানিবুকারসের এত এত সুবিধার মধ্যে এর একটি বড় ধরনের অসুবিধা রয়েছে, যার কারণে এটি পেপালের চেয়ে বেশি জনপ্রিয় হতে পারছে না। এটি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে মানিবুকারসের কোন সার্ভিস নেই। অর্থাযুক্তরাষ্ট্রের কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান মানিবুকারসে রেজিষ্ট্রেশন করতে পারে না। যে সকল ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস বা ইকমার্স সাইট যুক্তরাষ্ট্র থেকে পরিচালিত হচ্ছে তারা মানিবুকারসের মাধ্যমে কোন সার্ভিস দিতে পারে না।

মানিবুকারসে ব্যাংক একাউন্ট যুক্ত করে তা যাচাই করাটা প্রথম দিকে একটু ঝামেলাপূর্ণ। কিন্তু একবার যাচাই হয়ে গেলে মানিবুকারসের কল্যাণে অনলাইনে অর্থ লেনদেনের একটি বিশাল ক্ষেত্র আপনার সামনে উন্মোচিত হয়ে যাবে। যা দিয়ে অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং, ইকমার্স সাইট তৈরি, অনলাইনে কেনাকাটা ইত্যাদি অসংখ্য কাজে মানিবুকারসকে ব্যবহার করতে পারবেন। বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সাররা তাদের পরিচিতি ক্লায়েন্টের কাছ থেকে এই পদ্ধতিতে কোন খরচ ছাড়াই সরাসরি অর্থ গ্রহণ করতে পারবে (যুক্তরাষ্ট্রের ক্লায়েন্ট ব্যাতীত) মানিবুকারস একদিকে যেমন স্বাশ্রয়ী, অন্যদিকে নিরাপদ এবং ঝামেলাবিহীণ অনলাইন লেনদেনের মাধ্যম।
....................................


1 comment:

  1. Google Ad sense Thaka Ki Duch Bangla Mobile Banking a Taka Tola Jaba Ki na Jana Ban.

    Thanks

    ReplyDelete