Showing posts with label Tutorial-Graphics Design. Show all posts
Showing posts with label Tutorial-Graphics Design. Show all posts

Monday, April 14, 2014

Tutorial-Graphics Design-5


   ফ্রিল্যান্স গ্রাফিক ডিজাইন : কোন ফরম্যাট ব্যবহার করবেন

আপনি যদি গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে কোথাও চাকরী করেন তাহলে আপনাকে নিশ্চিয়ই কোন সফটঅয়্যার ব্যবহার করবেন, কোন ফরম্যাটে আউটপুট দেবেন এসব নিয়ে ভাবতে হয় না। তারাই ঠিক করে দেন। কিন্তু ফ্রিল্যান্সার হিসেবে যখন বিভিন্ন ক্লায়েন্টের কাজ করতে হয় তখন তাদের ভিন্ন ভিন্ন চাহিদার কারনে সিদ্ধান্ত আপনাকেই নিতে হয়। যারা এই পেশায় আসতে চান তারাও প্রস্তুতি নেয়ার সময় সমস্যায় পড়েন কোন সফটঅয়্যার শিখবেন এই সিদ্ধান্ত নিতে। এখানে বাস্তব পরিস্থিতির আলোকে কি শিখতে হবে এবং কাজ করার সময় কোনদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে সেটা উল্লেখ করা হচ্ছে।

ক্লায়েন্ট তার কাজের বর্ননা দেয়ার সময় দুটি বিষয় উল্লেখ করেন। একটি হচ্ছে কি কি ফরম্যাটে আউটপুট দিতে হবে, আরেকটি হচ্ছে সেটা কোথায় কোথায় কোথায় ব্যবহার করা হবে। এই দুটি মুল বিষয়ের দিকে দৃষ্টি রেখে আপনাকে কাজ করতে হবে।

আউটপুট ফরম্যাট হিসেবে
আপনি যদি ফ্রিল্যান্সারে গ্রাফিক ডিজাইনের কাজের বর্ননা দেখেন সেখানে দেখবেন লেখা রয়েছে AI, EPS, PNG, JPG ইত্যাদি ফরম্যাটে কাজ জমা দিতে হবে।
এআই হচ্ছে ইলাষ্ট্রেটর ফরম্যাট। এর অর্থ আপনাকে মুল কাজ ইলাষ্ট্রেটরে করতে হবে। যদি জানা না থাকে তাহলে এটুকু উল্লেখ করা প্রয়োজন, ফটোশপ কাজ করে বিটম্যাপ গ্রাফিক্স নিয়ে, ইলাষ্ট্রেটর কাজ করে ভেক্টর গ্রাফিক্স নিয়ে। আপনি ভেক্টরকে বিটম্যাপে পরিনত করতে পারেন, বিটম্যাপকে ভেক্টরে পরিনত করতে পারেন না। অন্যকথায় ইলাষ্ট্রেটরের কাজকে ফটোশপ ফাইল হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন কিন্তু ফটোশপ ফাইলকে ইলাষ্ট্রেটর ফাইল বানাতে পারেন না। ইলাষ্ট্রেটরের সুবিধে হচ্ছে একে বাকি যে ৩টি ফরম্যাটের উল্লেখ করা হয়েছে তাদের যে কোনটিতে পরিনত করা যায়।
ইপিএস ফরম্যাপ সরাসরি ইলাষ্ট্রেটর বা সরাসরি ফটোশপ থেকে পেতে পারেন। কাজেই এনিয়ে খুব বেশি মাথা ঘামানোর প্রয়োজন নেই।
পিএনজি (পিং) ফরম্যাট হচ্ছে ট্রান্সপারেন্সি সহ ইমেজ ফরম্যাট। ইলাষ্ট্রেটর বা ফটোশপ দুযায়গাতেই কাজ করে তাকে এই ফরম্যাটে ব্যবহার করা যায়।
কাজেই যদি ইলাষ্ট্রেটর ফরম্যাট উল্লেখ থাকে তাহলে ইলাষ্ট্রেটর ছাড়া গতি নেই। যদি উল্লেখ না থাকে তাহলে ফটোশপ ব্যবহার করতে পারেন।


ব্যবহার হিসেবে
ডিজাইনকে প্রধানত দুধরনের কাজে ব্যবহার করা হতে পারে। স্ক্রিন এবং প্রিন্ট। ওয়েব পেজ, অনলাইন বিজ্ঞাপন ইত্যাদি স্ক্রিনে ব্যবহারের জন্য। অবশ্যই ইমেজকে আরজিবি ফরম্যাটের হতে হবে। আর যদি প্রিন্ট উল্লেখ থাকে, যেমন প্যাড, কাগজপত্র, টি-সার্ট তাহলে সেটা সিএমওয়াইকে হিসেবে করে দেবেন।

কোন সফটঅয়্যার ব্যবহার করবেন সে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন এই দুটি বিষয়কে এক করে। যদি ইলাষ্ট্রেটরে কাজ করতে হয় তাহলে মুলত ড্রইং নির্ভর কাজ করতে হবে। ফটোগ্রাফ ব্যবহারের কাজটিও করতে হবে সাবধানে। বিটম্যাপ আকার পরিবর্তন করলে মান নষ্ট হয় একথা মনে রেখে।
যদি ভেক্টর প্রয়োজন হয়, পুরোপুরি বিটম্যাপে কাজ করার সুযোগ থাকে তাহলে কাজের সুবিধে অনেক বেশি। ইচ্ছেমত ফটোগ্রাফ যেমন ব্যবহার করা যায় তেমনি থ্রিডি সফটঅয়্যারে থ্রিডি টেক্সট, মডেল বা স্পেশাল ইফেক্ট তৈরী করে তাকেও ব্যবহার করা যায়।

কাজ শুরুর আগেই ভালভাবে জেনে নিন আপনাকে ঠিক কি করতে হবে। আপনি ফটোশপে কাজের নমুনা দেয়ার পর যদি ভেক্টর ফরম্যাটে আউটপুট দিতে বলে আপনি নিশ্চয়ই বিপদে পড়বেন। আর যদি নতুনভাবে শিখে কাজ শুরু করতে চান তাহলে শুধুমাত্র পটোশপের ওপর নির্ভর করবেন না। ইলাষ্ট্রেটর শেখার দিকে দৃষ্টি দিন।


By Uzzal Malake

Tutorial-Graphics Design-4


         কোরেল পেইন্টার কেন ব্যবহার করবেন

ইমেজ এডিটিং এর ক্ষেত্রে ফটোশপের তুলনা নেই। গ্রাফিক ডিজাইনের ক্ষেত্রেও। যদি ডিজিটাল ড্রইং এবং পেইন্টিং এর কথা তোলা হয় তাহলেও ফটোশপ ব্যবহারকারীরা বলবেন, সবই করা যায়।

কথাটা একটু বাড়িয়ে বলা। বাস্তবে একজন শিল্পী যেভাবে ছবি আকেন সেকথা একবার মনে করুন তো। জলরং, তেলরং, পেনসিল, কলম, চক, কয়লা, মোম বহুকিছু। আপনি কি ফটোশপে এমন কিছু আকতে পারেন যা দেখে মনে হবে সত্যিকারের পেনসিলে আকা, কিংবা রঙিন চক দিয়ে আকা।

একটিমাত্র সফটঅয়্যারই একাজ করতে পারে। সেটাই কোরেল পেইন্টার। বাস্তবে যেভাবে পেনসিল কখনো চেপে, কখনো হাল্কাভাবে ধরে, এদিক-ওদিক ঘুরিয়ে ছবি আকেন সেভাবেই কাজ করা যাবে পেইন্টারে। অন্য মাধ্যমগুলির ক্ষেত্রেও একই কথা। জলরং এর তুলি একপ্রান্তে একধরনের রঙ তৈরী করে আরেক প্রান্তে আরেক রকম। পেইন্টারে সেটা সম্ভব। আর ফটোশপের মতো ইমেজ এডিটিং, কম্পোজিট ইমেজ তৈরী, ফটোগ্রাফের যাবতীয় সমস্যা দুর করা এসব তো রয়েছেই। এমনকি ফ্রেম বাই ফ্রেম একে যদি এনিমেশন তৈরী করতে চান সেটাও করা যায় সরাসরিই।
পেইন্টারের সুবিধে কি কি একবার জেনে নেয়া যাক।
.          আপনি একেবারে শুরু থেকে ছবি আকতে পারেন। পেইন্টার তৈরী করা হয়েছে শিল্পীর হাত অনুসরন করে। ছবি আকার সময় শিল্পীর হাত যেমন নানাদিকে নানারকম ভঙ্গিতে কাজ করে আপনি সেটা করে একই ফল পেতে পারেন পেইন্টারে। অবশ্য একাজ মাউস ব্যবহার করে করতে পারেন না। ট্যাবলেট নামের ইনপুট ডিভাইস (প্রেসার সেনসিটিভ ট্যাবলেট) থাকলে সত্যিকারের সুবিধে পাবেন। বর্তমানে ২০০-২৫০ ডলারের মধ্যে ওয়াকমের উন্নতমানের ট্যাবলেট পাওয়া যায়। কাজেই এটা খুব বড় সমস্যা হওয়ার কথা না।
.          একেবারে শুরু থেকে ছবি না একে ফটোগ্রাফ থেকে আকতে চান ? ট্রেসিং পেপার আপনাকে সেই সুবিধে দেবে। ছবি এনে তার ওপর দিয়ে একে যান। তার ওপর দিয়ে যেমন আকার সুবিধে পাবেন তেমনি সেখান থেকে ক্লোন করার সুবিধে পাবেন।
.          ফটোগ্রাফকে পেইন্টিংএ পরিনত করতে চান ? খুজ সহজেই করে নিতে পারেন।
.          নানা ধরনের মিডিয়া ব্যবহারের সুযোগ। পেনসিল, কলম, জলরং, তেলরং, মোম, কয়লা যাকিছু কল্পনা করতে পারেন তার সবই রয়েছে পেইন্টারের ঝুলিতে। পেনসিলের কথাই ধরুন না কেন, ২বি হোক আর ৬বি হোক, আপনি বলে দেয়াই যথেষ্ট। যে কোন মিডিয়াকেই যে কোন ধরনের কাষ্টমাইজ করার সুযোগ রয়েছে। আপনি শুনে অবাক হতপারেন, পেইন্টার ১১ ভার্শনে মোট ব্রাশের সংখ্যা ৮৭৩টি।
.          শিল্পীরা তাদের রং পরিক্ষা করার জন্য একটি যায়গা ব্যবহার করেন। এই কাজের জন্য মিক্সার প্যালেট নামে একটি যায়গা রয়েছে যেখানে সঠিক রং পরীক্ষা করে নিতে পারেন।
.          ঘাসে ভর্তি মাঠ আকতে চান ? সেকাজে সাহায্য করবে ইমেজ হোস নামের বিশেষ ধরনের ব্রাস। যে কোন ইমেজের আকৃতি এবং রঙের ইমেজ ব্যবহার করে পেইন্ট করতে পারেন এটা দিয়ে। ঘাসের উদাহরনই ধরুন, একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে একবারে টেনে যাবে, সেখানে ভিন্ন আকারের, ভিন্ন আকৃতির ঘাস তৈরী হতে থাকবে।
.          নানা ধরনের টুল ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। ফটোশপের সাথে তুলনা করে বলতে পারেন, তার থেকেও বেশি।
.          ফটোশপের মতই লেয়ার ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে পেইন্টারে।
.          সব ধরনের ফাইল সাপোর্ট। আপনি প্রিন্টের জন্য কাজ করুন অথবা স্ক্রীনের জন্যই কাজ করুন, কোন সীমাবদ্ধতা নেই।

পেইন্টার ব্যবহার করতে কি হার্ডঅয়্যার প্রয়োজন হবে জেনে নিন। প্রয়োজন সামান্যই।
.          পেন্টিয়াম , ৭০০ মেগাহার্টজ
.          গিগাবাইট মেমোরী
.          হার্ডডিস্কে ৫০০ মেগাবাইট যায়গা
.          উইন্ডোজ এক্সপি, ভিসতা, অথবা ম্যাকিনটোস
.          ২৪ বিট কালার ডিসপ্লে, ১০২৪-৭৬৮ রেজ্যুলুশন
.          মাউস অথবা ট্যাবলেট

পেইন্টার সব বিষয়ে ফটোশপের থেকে উন্নত একথা ধরে নেবেন না এই লেখা পড়ে। কিছু কিছু কাজ ফটোশপে যত ভালভাবে করা যায় পেইন্টারে তত ভালভাবে করা যায় না। টেক্সট ব্যবহার একটা উদাহরন। বরং পেইন্টারের সুবিধের কারনে অনেক শিল্পী সত্যিকারের রঙের বদলে পেইন্টার ব্যবহার করেন।

যদি ক্রিয়েটিভ ডিজাইনকে পেশা হিসেবে নিতে চান অথবা ফটোগ্রাফকে ক্রিয়েটিভিটি দিতে চান তাহলে পেইন্টার আপনার পছন্দ হতেই পারে।
আর কিভাবে শিখবেন এনিয়ে যদি চিন্তত হন তাহলে উল্লেখ করতে হচ্ছে, সফটঅয়্যারের সাথেই রয়েছে টিউটোরিয়াল, ইউজার গাইড ইত্যাদি। আর এই সাইটে নিয়মিতভাবে টিউটোরিয়াল পাবেন।


By Uzzal Malake

Tutorial-Graphics Design-3


        লোগো ডিজাইন : ভাল লোগো তৈরীর নিয়ম

লোগো ডিজাইন গ্রাফিক ডিজাইনারদের একটি গুরুত্বপুর্ন কাজ। প্রায় প্রতিটি প্রতিস্ঠানই তাদের নিজস্ব লোগো ব্যবহার করে। এই লোগোগুলি তাদের পরিচিতি তুলে ধরে। কাজেই লোগো তৈরী সময় তাকে সুন্দর রাখা যেমন জরুরী তেমনি সেই প্রতিস্ঠানকে প্রকাশ করাটাও গুরুত্বপুর্ন। সেখানেই প্রশ্ন ওঠে, লোগো ডিজাইনের সময় কি কি বিষয় লক্ষ্য করা উচিত। কিংবা ভাল এবং মন্দ লোগোর পার্থক্য বিচার হয় কিভাবে। এবিষয়ে আলোকপাত করার চেষ্টা করা হচ্ছে এখানে।

লোগো তৈরী আগে কিছু বিষয় জেনে নেয়া জরুরী। সেগুলি হচ্ছে;


.          লোগোটি কি একেবারে নতুন তৈরী হচ্ছে নাকি আগের লোগোর বদলে ব্যবহার করা হবে।
.          লোগোটি ব্যবহার করবে কে। আপনি কোন প্রতিস্ঠানের হয়ে কাজ করতে পারেন, অথবা নিজের কোম্পানীর জন্য লোগো তৈরী করতে পারেন।
.          লোগো কোন ধরনের বক্তব্য তুলে ধরবে।
.          লোগোর পেছনের প্রতিস্ঠানের কাজ কি।

কোন প্রতিস্ঠানের কাজ করার সময় আপনার প্রথম কাজ, তারকাছে সেই কোম্পানী সম্পর্কে জেনে নেয়া। তারকাছে এমনকিছু শব্দ (Keyword) লিখে নিন যা কোম্পানীর পরিচিতি তুলে ধরে। যেমন Simple, Low cost, Young, Joyful, Inventive, Friendly, Experienced, Energetic, Aristocratic ইত্যাদি। তরুনদের জন্য যারা কাজ করে তাদের লোগো এবং পরিনত বয়সীদের নিয়ে কাজ করা প্রতিস্ঠানের মধ্যে পার্থক্য থাকে। তেমনি যারা কমদামে জিনিষপত্র বিক্রি করে এবং যারা অভিজাত জিনিষপত্র বিক্রি করে তাদের লোগোর ধরনও আলাদা।

কিওয়ার্ডের সাথে একবাক্যে কোম্পানীর পরিচিতি লিখে নিন। প্রতিস্ঠানের কাজ কি, এই প্রশ্নের উত্তরে যা পাওয়া যায় সেটা গুরুত্বপুর্ন।

লোগোর রং ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিন। লোগো কোথায় ব্যবহার করা হবে জেনে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। সাধারনভাবে লোগো সবযায়গাতেই ব্যবহার হওয়ার কথা, যেমন বিজনেস কার্ড, লেটারহেড প্যাড, ওয়েবসাইট, পোষ্টার, টিসার্ট, ব্যানার, প্যাকেট, গাড়ি ইত্যাদিতে। সবগুলি বিবেচনায় এনে রং বাছাই করুন।

একাধিক রং ব্যবহার করলে এমন রং বাছাই করুন যেখানে সহজে একটি থেকে অপরটি পৃথকভাবে চেনা যায়। লোগো কখনো সাদাকালো হিসেবে ব্যবহার হতে পারে। সেখানে এক রং থেকে আরেক রং পৃথকভাবে চেনার মত রং ব্যবহার করুন।

সবচেয়ে পরিচিত লোগোগুলি ভালভাবে দেখে নিন। সেগুলি একদিকে অত্যন্ত সরল, অন্যদিকে বক্তব্য প্রকাশে সমর্থ। এই শ্লোগানগুলি নিশ্চয়ই আপনার পরিচিত, Think Different, Just Do It, Finger-lickin’ good, Impossible is nothing ইত্যাদি। তাদের লোগো এই বক্তব্য প্রকাশ করে।

ফন্ট ব্যবহারের দিকে গুরুত্ব দিন। মাইক্রোসফট, কোকাকোলা এই দুটি লোগোতে ব্যবহৃত ফন্টের দিকে দৃষ্টি দিলে সহজেই বোঝা যায় একটি প্রযুক্তি অপরটি তরল কিছু বুঝায়। প্রতিস্ঠানের কাজের সাথে মিল রেখে ফন্ট ব্যবহার করুন।

লোগো কেন প্রয়োজন ? লোগো একটি প্রতিস্ঠানকে পৃথকভাবে চিনতে সাহায্য করে। প্রতিস্ঠানের পরিচিতি অন্যদের কাছে তুলে ধরে। কাজেই সেটা একদিকে যেমন সরল হবে তেমনি শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় বিষয়ই থাকবে। উদাহরনের ছবির লোগোগুলি দেখুন। বিশ্বখ্যাত এই লোগোগুলি একদিকে সরল অন্যদিকে বক্তব্যধর্মী।

ভাল লোগোর বৈশিষ্টগুলি একসাথে করলে সংক্ষেপে যা দাড়ায় তা হচ্ছে;
.          সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন বক্তব্য তুলে ধরা একটি সরল ছবি।
.          ছবি প্রতিস্ঠানের কাজের ধরনের সাথে মানানসই।
.          প্রতিস্ঠানের নাম সেখানে রয়েছে।
.          ফন্ট সহজবোধ্য। লোগোতে কখনো একের অধিক ফন্ট ব্যবহার করবেন না। লোগোর ফন্ট যেন প্রতিককে ছাপিয়ে না যায়।
.          লোগোটি সাদাকালোতেও বোধগম্য।


লোগো তৈরীর সফটঅয়্যার
সহজে লোগো তৈরীর জন্য কিছু সফটঅয়্যার পাওয়া যায়। গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে আপনি নিশ্চয়ই তেমনকিছু ব্যবহার করতে যাচ্ছেন না। আপনার ক্রিয়েটিভ লোগো তৈরী করার কথা, তৈরী কিছু ব্যবহার করা না।
গ্রাফিক ডিজাইন ভেক্টর অথবা বিটম্যাপ দুধরনের হতে পারে। দুভাবেই সুন্দর লোগো তৈরী করা সম্ভব। বিটম্যাপের সমস্যা হচ্ছে যদি কখনো বড় (কিংবা ছোট) করা প্রয়োজন হয় তাহলে মান নষ্ট হয়। ভেক্টর সেদিক থেকে সুবিধেজনক।
কাজেই লোগো তৈরীর জন্য ফটোশপ ব্যবহার না করে ইলাষ্ট্রেটর কিংবা কোরেল ড্র এর মত কোন সফটঅয়্যার ব্যবহার করুন।


By Uzzal Malake

Tutorial-Graphics Design-2


      থ্রিডি টেক্সট তৈরীর জন্য ব্যবহার করুন কুল থ্রিডি

যারা থ্রিডি ষ্ট্রডিও ম্যাক্স কিংবা মায়ার মত সফটঅয়্যার ব্যবহার করেন তারা খুব মনেরমত থ্রিডি টেক্স তৈরী করে নিতে পারেন। সেটা এনিমেশনের জন্যই হোক, ভিডিওর টাইটেলের জন্যই হোক আর গ্রাফিক ডিজাইনে ব্যবহারের জন্যই হোক। যারা থ্রিডি সফটঅয়্যারে দক্ষ নন তাদের সমস্যায় পড়তে হয় যখন ক্লায়েন্ট থ্রিডি টেক্সট ব্যবহার করতে বলেন। একাজ সহজেই করে নিতে পারেন কুল-থ্রিডি ব্যবহার করে।
কুল থ্রিডি (Ulead Cool 3D Studio) এনিমেশন সফটঅয়্যার। আপনি থ্রিডি টেক্সট কিংবা অবজেক্ট তৈরী করতে পারেন, তাকে এনিমেট করতে পারেন, আউটপুট হিসেবে ভিডিও ফাইল কিংবা ইমেজ ফাইল তৈরী করতে পারেন। কিংবা থ্রিডি ফরম্যাটে এক্সপোর্ট করে থ্রিডি ষ্টুডি ম্যাক্সে ব্যবহার করতে পারেন। এমনকি ডিরেক্টএক্স ফরম্যাটে এক্সপোর্ট করে ব্যবহার করতে পারেন থ্রিডি গেমে।
তারপরও, এর সত্যিকারের ব্যবহার থ্রিডি টেক্সট তৈরীতেই। অনেকেই এখানে টেক্সট তৈরী করে তাকে ম্যাক্সে ব্যবহার করেন। আর গ্রাফিক ডিজাইনারদের জন্য ফটোশপ জাতিয় সফটঅয়্যারে যেহেতু লাইট, ক্যামেরা ইত্যাদি ব্যবহারের তেমন সুযোগ নেই, সেহেতু তাদের জন্য আদর্শ সফটঅয়্যার এটা।  ফটোশপে একেবারে চকচকে সোনালী থ্রিডি টেক্সট তৈরী করা যায় না, এখানে করা যায়।
কুল থ্রিডি ষ্টুডিও চালূ করলে এধরনের একটি স্ক্রিন পাবেন;
.          ইমেজের মাপ ঠিক করার জন্য মেনু থেকে Project - Dimention সিলেক্ট করুন এবং মাপ বলে দিন।এখানে সর্বোচ্চ ৩০০০-৩০০০ পিক্সেল ডকুমেন্ট তৈরী করা যাবে।
.          টেক্সট লেখার জন্য বামদিকের টুলবক্স থেকে Insert Text ক্লিক করুন। Insert Text উইন্ডো পাওয়া যাবে। এখানে টাইপ করুন। প্রয়োজনে ফন্ট, সাইজ ইত্যাদি পরিবর্তন করে নিন। যা টাইপ করবেন তাকেই প্রোজেক্ট উইন্ডোতে পাওয়া যাবে।
.          লেখাকে নির্দিস্ট যায়গায় সরানোর জন্য টাইমলাইনে Position সিলেক্ট করুন। এরপর সরাসরি টেক্সটকে ড্রাগ করে সরিয়ে নিন। একই পদ্ধতিতে ঘুরানোর জন্য Orientation, আকার বড়-ছোট করার জন্য Scale, রং পরিবর্তনের জন্য Color ইত্যাদি ব্যবহার করা যাবে।
.          ডানদিকের ইজি-প্যালেট ব্যবহার করে পছন্দমত কম্পোজিশন, ইফেক্ট ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন। যেমন টেক্সট এর জন্য এনিমেটেড ইফেক্ট ব্যবহার করতে টেক্সট ইফেক্ট এর বিভিন্ন এনিমেশন অপশন দেখুন। যে কোন প্রিসেটে ডাবল-ক্লিক করে সেটা ব্যবহার করা যাবে।
.          বেভেল, ম্যাটেরিয়াল ইত্যাদি ব্যবহার করে টেক্সটকে পছন্দমত করে নিন। থ্রিডি সফটঅয়্যারের মত লাইট, ক্যামেরা ইত্যাদি পরিবর্তন করে নিন।
.          প্রয়োজনঅবজেক্ট অংশ থেকে সফটঅয়্যারের লাইব্রেরি থেকে বিভিন্ন ধরনের থ্রিডি অবজেক্ট ব্যবহার করা যাবে।
.          পার্টিকেল লাইব্রেরী থেকে ফায়ার, স্মোক, স্নো ইত্যাদি যোগ করা যাবে এবং সেগুলি কাষ্টমাইজ করা যাবে।
.          ব্যবহার করে যে কোন অবজেক্টের যে কোন বৈশিষ্ট পরিবর্তন করা যাবে। এট্রিবিউটসহ অন্যান্য উইন্ডো ওপেন করার জন্য স্ক্রীনের ডানদিকে বাটন রয়েছে।
.          আউটপুট হিসেবে ইমেজ ফাইল তৈরীর জন্য মেনু থেকে File – Create Image File সিলেক্ট করুন, অথবা ভিডিও ফাইল তৈরীর জন্য File – Create Video File সিলেক্ট করুন।
কুল থ্রিডি ব্যবহার এতটাই সহজ যে কিছুক্ষনের চেষ্টায় আপনি এতে দক্ষতা অর্জন করতে পারেন। তারপর তৈরী করতে পারেন পছন্দের ডিজাইন কিংবা এনিমেশন। কোন সমস্যা হলে সফটঅয়্যারের হেল্প ফাইল দেখে নিন।


By Uzzal Malake