কিবোর্ড
শর্টকাট কতটা প্রয়োজন
অপারেটিং
সিষ্টেম হোক আর এপ্লিকেশন সফটঅয়্যার হোক, সব যায়গাতেই কমান্ড ব্যবহারের জন্য একাধিক পদ্ধতি রয়েছে। মেনু থেকে কমান্ড সিলেক্ট করতে পারেন, টুলবার থেকে নির্দিষ্ট টুলে ক্লিক করতে পারেন আকার কিবোর্ড থেকেও কমান্ড দিতে পারেন। বর্তমানের সব অপারেটিং সিষ্টেমই গ্রাফিক্যাল ফলে মাউস ব্যবহার করে সব কাজ করা যায়। সেকারনে কিবোর্ড থেকে কমান্ড দেয়াকে বলা হয় শর্টকাট। নাম বলে দিচ্ছে কাজ দ্রুত করার জন্য এই ব্যবস্থা।
বাস্তবে
শুধুমাত্র দ্রুত কাজ করাই একমাত্র উপকার না। আরো বেশকিছু সুবিধে পাওয়া যায় কিবোর্ড শর্টকাট থেকে। এমনকি কোন কোন কাজ এভাবেই করতে হয়। কিবোর্ড শর্টকাট ব্যবহারের সুবিধেগুলি জানানো হচ্ছে এখানে।
. কাজ দ্রুত করা
শর্টকাটের
সবচেয়ে বেশি ব্যবহার একারনেই। আপনি যখন ওয়ার্ডে টাইপ করছেন তখন আপনার দুহাত কিবোর্ডে। সেভ করার জন্য হাত সরিয়ে মাউস ধরার চেয়ে সরাসরি কন্ট্রোল+এস চাপ দেয়া অনেক সহজ। একই কথা কপি, পেষ্ট এর মত কাজেও। যেকারনে অপারেটিং সিষ্টেম থেকে শুরু করে প্রায় সমস্ত সফটঅয়্যারের একই কমান্ড ব্যবহারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
. অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতার পরিচয়
আপনি
শেখার সময় কিংবা কোন সফটঅয়্যার ব্যবহারের প্রথমদিকে কিবোর্ডের শর্টকাটগুলি মুখস্ত করতে পারেন না। কাজ করতে করতে আপনি শিখে নেন কোন কাজগুলি কিবোর্ড থেকে দ্রুত করা যায়। বিপরীতভাবে আপনি যত অভিজ্ঞ কিবোর্ড শর্টকাট ব্যবহারের সম্ভাবনা তত বেশি। যেকারনে একে অভিজ্ঞতার মাপকাঠি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ফ্রিল্যান্সার কিংবা ওডেস্ক থেকে শুরু করে অন্য কোন অনলাইন পরীক্ষা দিলে অন্যান্য প্রশ্নের সাথে কিবোর্ড শর্টকাট বিষয়ক প্রশ্নও করা হবে।
. কাজ সহজ করা
কাজ
দ্রুত করার পাশাপাশি অনেক কাজ কিবোর্ড থেকে সহজে করা যায়। গ্রাফিক ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং বা এনিমেশন কাজের সময় কোনকিছুকে সামান্য সরাতে চান, কাজটি কিবোর্ড থেকে করুন। নিখুত ফল পাওয়া যাবে। ফন্ট বড়ছোট করার সময় বারবার ফন্টসাইজ পরিবর্তন না করে কিবোর্ড ব্যবহার করে বড়-ছোট করে পছন্দসই সাইজে আনা সহজ।
. বিশেষ কাজ করা
আপনার
মনে হতে পারে মাউস ব্যবহার করে যখন কাজ করাই যায় তখন কিবোর্ড শর্টকাট মুখস্ত করার প্রয়োজন কি। সময় কিছুটা বেশি লাগলেও কাজ তো করা যাচ্ছে। বাস্তবতা হচ্ছে কিছু কাজ যেমন শুধুমাত্র মেনুতে বা বিশেষ যায়গায় পাওয়া যায় তেমনি বিশেষ কিছু কাজ শুধুমাত্র কিবোর্ড থেকেই করা যায়। ইলাষ্ট্রেটরে টাইটেলে দুটি অক্ষরের মধ্যে দুরত্ব কমবেশি করার কাজ মাউস ব্যবহার করে করতে পারেন না, একাজ কিবোর্ড থেকেই করতে হয়।
. মডিফায়ার কি ব্যবহার
মডিফায়ার
কি ব্যবহার করতে হয় মাউসের সাথে। যেমন ইলাষ্ট্রেটরে বৃত্ত আকার সময় সিফট কি চেপে রাখলে পুরোপুরি গোল বৃত্ত পাওয়া যায়, অলট চেপে ধরলে কেন্দ্র থেকে আকা হয়। কিংবা তারা আকার সময় কিবোর্ড থেকে ঠিক করে দিতে পারেন সেখানে কয়টি কোন থাকবে। মাউসনির্ভর কাজ করলে মডিফায়ার কি সম্পর্কেও আগ্রহ থাকে না।
কিভাবে
দক্ষতা বাড়াতে পারেন
কিবোর্ড
শর্টকাট অত্যন্ত ভাল জিনিষ একারনে আপনি এগুলি মুখস্ত করতে পারেন না। আবার নিয়মিত ভিন্নভিন্ন সফটঅয়্যার ব্যবহার করলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার সম্ভাবনা থেকে যায়। ম্যাক্স এবং ইলাষ্ট্রেটরের একটির শর্টকাট অন্যটিতে ব্যবহার করে ফেলতে পারেন যা সমস্যা তৈরী করবে।
কিবোর্ড
ব্যবহারে দক্ষতা বাড়াতে যা করতে পারেন।
. প্রয়োজনীয় শর্টকাটগুলি কাগজে লিখে সামনে
রাখুন এবং কাজ করার সময় দেখে নিন।
. কাজের ধরন অনুযায়ী যেগুলি আপনার প্রয়োজন শুধুমাত্র সেগুলি মনে রাখার চেষ্টা করুন।
. কোন কাজ কিবোর্ডে করবেন কোন কাজ মাউস ব্যবহার করবেন এজন্য নিয়ম ঠিক করে নিন।
. প্রতিটি সফটঅয়্যারের হেল্প অংশে শর্টকাট এর লিষ্ট দেয়া থাকে। অনেক সফটঅয়্যারে মেনু কমান্ডের পাশে শর্টকাট লেখা থাকে। সেদিকে লক্ষ্য রাখুন।
By Uzzal Malake
No comments:
Post a Comment