Showing posts with label Tutorial-Illustrator. Show all posts
Showing posts with label Tutorial-Illustrator. Show all posts

Monday, April 14, 2014

Tutorial-Illustrator-16


              ইলাষ্ট্রেটরে মাস্ক ব্যবহার

মাস্ক শব্দের অর্থ মুখোস। মুখের ওপর মুখোস ব্যবহার করলে মুখোসটি দেখা যায়, মুখ তার আড়ালে ঢাকা পড়ে। ইলাষ্ট্রেটরে মাস্ক বিষয়টি ঠিক এভাবেই ব্যবহার করা হয়। ইলাষ্ট্রেটর আর্টওয়ার্কে কোন সেপ মুল এলাকার বাইরে যেতে পারে যা মুল ডিজাইন থেকে বাদ দেয়া প্রয়োজন। মাস্ক ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় অংশটুকু রেখে বাকিটুকু ঢেকে দিকে পারেন। মাস্কের আরেকটি গুরুত্বপুর্ন ব্যবহার বিটম্যাপ ব্যবহারের সময়। ইলাষ্ট্রেটরে ফটোশপের মত বিটম্যাপ এডিট করতে পারেন না। সেক্ষেত্রে মুল অংশটুকু রেখে বাকিটুকু বাদ দেয়ার জন্য মাস্ক প্রয়োজন হয়।

বিভিন্ন ধরনের মাস্ক তৈরী ব্যবহার পদ্ধতি এখানে উল্লেখ করা হচ্ছে।
প্রথমে বিটম্যাপ ইমেজ (ফটোগ্রাফ) এর অপ্রয়োজনীয় অংশ বাদ দেয়ার পদ্ধতি জেনে নেয়া যাক।
.          ইলাষ্ট্রেটরে বিটম্যাপটি ইমপোর্ট করুন।
.          ইমেজটি সিলেক্ট করুন। অপশপ বারে লাইভ ট্রেস এর পাশেই মাস্ক (Mask) নামে একটি বাটন দেখা যাবে। এখানে ক্লিক করুন। সাথেসাথে মাস্ক তৈরী হবে।
এভাবে তৈরী করা মাস্কটি ইমেজের সমান। ফলে পুরো ইমেজটি দেখা যাবে। ইমেজের বর্ডারে মাউস পয়েন্টার ক্লিক করুন এবং হ্যান্ডলার ড্রাগ করে মাস্ক কে ছোট করে নিন। যতটুকু ড্রাগ করবেন ততটুকু ইমেজ বাদ যাবে।
উল্লেখ্য এরফলে মুল ইমেজের কোন পরিবর্তণ হচ্ছে না। বাদ দেয়া অংশে মাউস পয়েন্টার আনলে দেখা যাবে সেখানে ইমেজ থেকে গেছে। সেটুকু দেখা যাবে না বা আউটপুটে পাওয়া যাবে না।

মাস্ক এবং ইমেজ এডিট করা
মাস্কের বর্ডারে মাউস পয়েন্টার এনে আপনি মাস্কের পরিবর্তণ করতে পারেন। কখনো কখনো ইমেজের পরিবর্তণ করাও প্রয়োজন হয়। যেমন মাস্ক তৈরীর পর হয়ত ইমেজকে কিছুটা সরিয়ে আনা।
অপশন বারে Edit Clipping Mask এবং Edit Contents নামে দুটি বাটন পাবেন। প্রথমটি সিলেক্ট করলে (ডিফল্ট) হ্যান্ডলার ব্যবহার করে মাস্ক পরিবর্তণ করা যাবে, পরেরটি সিলেক্ট করলে ইমেজকে ড্রাগ করে সরানো যাবে।
আরেক পদ্ধতি হচ্ছে, মাস্ক তৈরী করলে সবকিছু গ্রুপ হিসেবে কাজ করে। কাজে অন্যান্য গ্রুপ ব্যবহারের মত ডাবল-ক্লিক করে গ্রুপের ভেতরে ঢুকে যে কোনটি সিলেক্ট করতে পারেন।

ওপরের পদ্ধতিতে আপনি কেবলমাত্র আয়তাকার মাস্ক তৈরী করতে পারেন। অনেক সময়ই আপনার বৃত্তাকার বা অন্য কোস সেপকে মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করা প্রয়োজন হতে পারে। এমনকি টেক্সটকেও। ইলাষ্ট্রেটরে যে কোন সেপকেই মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এর পদ্ধতি জেনে নিন।

.          কোন একটি বিটম্যাপ ইমেজ ইমপোর্ট করুন।
.          বৃত্তাকার, ষ্টার বা অন্য যে কোন সেপ তৈরী করুন।
.          সেপকে ইমেজের ওপর পছন্দমত যায়গায় আনুন।
.          সিলেকশন টুল ব্যবহার করে মার্কি ড্রাগ করে ইমেজসহ সেপ সিলেক্ট করুন।
.          মেনু থেকে কমান্ড দিন Object – Clipping Mask - Make সেপেটি মাস্ক হিসেবে কাজ করবে।

মাস্ক বাদ দেয়া
কোন কাজের সময় মাস্ক তৈরীর পর হয়ত সেটা বাদ দিয়ে নতুনভাবে তৈরী করা প্রয়োজন হতে পারে। মাস্ক ব্যবহার করা অবজেক্টে দ্বিতীয়বার মাস্ক ব্যবহার করা যায় না, এজন্য প্রথমে আগের মাস্তটি বাদ দিতে হবে।
মাস্ক বাদ দেয়ার জন্য অবজেক্ট সিলেক্ট করুন এবং মেনু থেকে Object – Clipping Mask – Release কমান্ড দিন।

মাস্ক ব্যবহারের মুল নিয়মটি আরেকবার জেনে নিন।
.          যে সেপ সকলের ওপরে থাকবে সেটা মাস্ক হিসেবে কাজ করবে এবং এরসাথে মিল রেখে নিচের অবজেক্টের বিশেষ অংশ দেখা যাকে।


By Uzzal Malake

Tutorial-Illustrator-17


             ইলাষ্ট্রেটর এর ৮টি প্লাগইন
যারা ভিডিও এডিট করেন তাদের কাছে প্লাগইন অত্যন্ত আকর্ষনীয় বিষয়। খুব সহজে নানাধরনের ইফেক্ট ব্যবহার করা যায়। যারা পটোশপ ব্যবহার করেন তাদের কাছেও প্রথমদিকে প্রধান আকর্ষন প্লাগইন। যদিও কিছুদিন পরই তারা প্লাগইন ব্যবহারে সংযমি হন। একসময় বুঝতে হয় ডিজাইনারের কাছে মানুষ নিজস্ব ডিজাইন আশা করে, প্লাগইন ব্যবহার করা ঝকমকে কিছু দিয়ে কাজ চলে না।

ইলাষ্ট্রেটর প্লাগইন সেদিক থেকে বেশ অপরিচিত। অথচ কাজের জন্য অন্যদের থেকে বেশি উপযোগি। আলোর ইফেক্ট তৈরী করতে কিংবা বিশেষ ধরনের ব্রাশ ব্যবহার করতে যেখানে কয়েক ঘন্টা সময় প্রয়োজন হয় সেকাজ কয়েক মিনিটে করার সুযোগ পাওয়া যায়। আর ধরনও ভিডিও এডিটিং কিংবা ফটোশপের প্লাগইন থেকে আলাদা। সাধারনভাবে ডিজাইন দেখে বোঝা সম্ভব না সেটা প্লাগইন ব্যবহার করে করা হয়েছে নাকি পুরোপুরি নিজের তৈরী।
এধরনের ৮টি প্লাগইনের পরিচিতি তুলে ধরা হচ্ছে এখানে।
.          এন্ড্রু ভেক্টর প্লাগইন কালেকশন
৪০টির মত প্লাগইন এবং সাথে কয়েখশত সিম্বল, ষ্টাইল, ব্রাশ, প্যাটার্ন ইত্যাদি থাকে এরসাথে। প্লাগইনগুলির মধ্যে আছে জিগজ্যাগ, ওয়ার্প, ্যাটিস, ষ্টারবার্ষ্ট। নামগুলি থেকেই ধারনা করা যায় সেগুলি কি করবে।
www.graphicxtras.com

.          বেটার হ্যান্ডলস
পাথ সহজে ব্যবহারের জন্য এই প্লাগইন। হ্যান্ডল এর কোন পরিবর্তণ না করেই তাকে বড়ছোট করার থেকে শুরু করে সংখ্যামান ব্যবহার করে পরিবর্তন সব সুযোগ রয়েছে এতে। সেপের পরিবর্তন করার কাজ অনেক সহজ হতে পারে এর সাহায্যে।
www.nineblock.com

.          ক্যাড-টুলস
নাম থেকে যেমন ধারনা করতে পারেন, ক্যাডের সুবিধে ইলাষ্ট্রেটরের মধ্যে। ইন্টেরিয়র বা এক্সটেরিয়র ডিজাইনের জন্য অনেকগুলি টুল যোগ করবে সরাসরি ইলাষ্ট্রেটর টুলবক্সে। বিনামুল্যের ট্রায়াল ভার্শন ডাউনলোড করে দেখে নিতে পারেন কারন সফটঅয়্যারটি বেশ দামী। ২৮০ ডলার।
www.hotdoor.com

.          ফিল্টার-ইট
ইলাষ্ট্রেটরের প্রথম প্লাগইন ফিল্টার-ইট।  এখনও এটা সমানভাবে জনপ্রিয়। এর থ্রিডি ট্রানসফরম টুল ব্যবহার করে নতুন ব্যবহারকারীরাও আকর্ষনীয় ডিজাইন তৈরী করতে পারেন।
www.cvalley.com

.          ফোল্ডআপ থ্রিডি
ইলাষ্ট্রেটরের মধ্যেই থ্রিডির জন্য মকআপ তৈরী করে থ্রিডি প্রিভিউ দেখে নিতে পারেন এই প্লাগইনের সাহায্যে। থ্রিডি থেকে যে কাজগুলি করা যায় সেটা করতে পারেন এই প্লাগইনের সাহায্যে। এটা ইলাষ্ট্রেটরের সবচেয়ে দামী প্লাগইনগুলি একটি।
www.comnet-network.co.jp/eng

.          মাল্টিপেজ
ইলাষ্ট্রেটরে একটিমাত্র পেজ নিয়ে কাজ করতে হয়, একাধিক পেজ প্রয়োজন হলে ভাবতে হয় ইনডিজাইনের কথা। মাল্টিপেজ প্লাগইন ব্যবহার করে ইলাষ্ট্রেটরেই অনেকগুলি পেজ নিয়ে কাজ করতে পারেন।
www.hotdoor.com

.          পাথ ষ্টাইলার প্রো
প্রতিদিনের কাজে হয় আপনার পাথ ষ্টাইল নিয়ে ভাবতে হয় না কিন্তু লোগো ডিজাইনারদের কাছে বিষয়টি গুরুত্বপুর্ন। খুব সহজেই পাথের নানারকম পরিবর্তণ আনা যায় এর সাহায্যে।
www.artlandia.com

.          সিমেট্রি ওয়ার্কস
টেক্সটাইল, গ্রিটিংস কার্ড বা এধরনের কাজে যখন প্যাটার্ন তৈরী করা হয় তখন কাজে লাগাতে পারেন একে। একটি অংশ তৈরী করে তাকে নকশা হিসেবে ব্যবহারের জন্য আদর্শ প্লাগইন।
www.cvalley.com

কোন প্লাগইন কতটা প্রয়োজন, সেগুলির ব্যবহার পদ্ধতি, ব্যবহার করা কাজের উদাহরন ইত্যাদি দেখে নিতে পারেন তাদের ওয়েবসাইট থেকে।


By Uzzal Malake

Tutorial-Illustrator-15

 
ইলাষ্ট্রেটর সেপ বিল্ডার


ইলাষ্ট্রেটল সেপ বিল্ডার : নির্দিষ্ট যায়গায় নির্দিষ্ট রং ব্যবহার

ইলাষ্ট্রেটরে লোগো ডিজাইন বা অন্য কাজে অনেক সময়ই কোন সেপের বা টেক্সট এর বিশেষ অংশে বিশেষ রং ব্যবহার করা প্রয়োজন হয়। উদাহরনে বাংলাদেশ লেখাটির কথা বিবেচনা করুন। সাধারনভাবে আপনি একটি অক্ষরে একটি রং ব্যবহার করতে পারেন, এখানে একই অক্ষরের নির্দিস্ট অংশে নির্দিষ্ট রং ব্যবহার করা হয়েছে।




ইলাষ্ট্রেটরের সেপ বিল্ডার টুল ব্যবহার করে খুব সহজেই কাজটি করতে পারেন।

.          টেক্সটটি সুবিধেজনক ফন্টে টাইপ করুন নির্দিস্ট সাইজে আনুন।

.          ফন্ট আউটলাইন করে নিন।

.          অধিকাংশ যায়গায় যে নং ব্যবহৃত হবে সেই রং ব্যবহার করুন। এখানে সবুজ।

.          যে যায়গার রং পরিবর্তণ করতে চান সেই যায়গার জন্য সেপ তৈরী করুন। এখানে ইলিপস টুল ব্যবহার করা হয়েছে, অন্য যে কোন টুল ব্যবহার করে তৈরী সেপ ব্যবহার করা যাবে।

.          সবকিছু একসাথে সিলেক্ট করুন।

.          টুলবক্স থেকে সেপ বিল্ডার টুল সিলেক্ট করুন।

.          নির্দিষ্ট যায়গায় যে রং ব্যবহার করতে চান সেই রং সিলেক্ট করুন।

.          যেখানে রং পরিবর্তন করতে চান সেখানে ক্লিক করুন।


By Uzzal Malake

Tutorial-Illustrator-14

 
ইলাষ্ট্রেটর লিকুইফাই ইফেক্ট

ইলাষ্ট্রেটর টিউটোরিয়াল : লিকুইফাই ইফেক্ট
ইলাষ্ট্রেটরে মুলত রেখা ব্যবহজার করে আপনি সেপ তৈরী করেন। অনেক সময়ই রেখাকে নির্দিষ্ট ধরনের সেপে আনতে পেনটুল দিয়ে বহু সময় ব্যয় করে কাজ করতে হয়। ইলাষ্ট্রেটরে লিকুইফাই ইফেক্ট ব্যবহার করে সহজে আপনি বেশকিছু পরিবর্তনের কাজ করতে পারেন অনেক সহজে। Warp, Twirl, Pucker, Bloat, Scallop, Crystallize, Wrinkle ইত্যাদি মোট ৮টি ভিন্ন ভিন্ন টুল রয়েছে এজন্য।

উদাহরনে একটি সরলরেখার ওপর Twirl এবং Bloat ইফেক্ট ব্যবহার করা হয়েছে।
.          প্রয়োজনীয় ড্রইং করে নিন।
.          টুলবক্সে লিকুইফাই ইফেক্ট এর যে কোন টুল সিলেক্ট করুন।
.          Alt কি চেপে ধরে ড্রাগ করে ব্রাশের মাপ ঠিক করে নিন। অথবা টুলের ওপর ডাবল-ক্লিক করে অপশন পরিবর্তন করে নিন।
.          লাইনের ওপর ড্রাগ করে টুলটি ব্যবহার করুন।

By Uzzal Malake

Sunday, April 13, 2014

Tutorial-Illustrator-13


বিটম্যাপ থেকে ভেক্টর তৈরী

ইলাষ্ট্রেটর টিউটোরিয়াল : বিটম্যাপ থেকে ভেক্টর তৈরী

বিটম্যাপ হচ্ছে ফটোগ্রাফিক ইমেজ। ডিজিটাল ক্যামেরায় ছবি উঠালে বা স্ক্যান করলে পাওয়া যায়। অন্যদিকে ইলাষ্ট্রেটরের মুল কাজ ভেক্টরভিত্তিক। একে ইচ্ছেমত বড়-ছোট করলেও মানের পরিবর্তণ হয় না। সমস্যা হচ্ছে ভেক্টর ড্রইং বেশ জটিল এবং সময়সাপেক্ষ।



কেন হয় যদি বিটম্যাপ ইমেজকে ভেক্টরে পরিনত করা যায়। একজন মানুষের ছবি হয়ত আপনার পুরোপুরি একে তৈরী করা প্রয়োজন নেই। ফটোগ্রাফ থেকে মুল ড্রইঙ তৈরী করে নিন, তারপর প্রয়োজন হলে পরিবর্তন করে নিন। ইলাষ্ট্রেটরে এই কাজ করার সুযোগ আছে।

ইলাষ্ট্রেটরে একে বলা হয় লাইভ ট্রেসিং। কোন ইমেজকে ভেক্টরে পরিনত করার জন্য যেভাবে লাইভ ট্রেসিং ব্যবহার করবেন;

.          ইলাষ্ট্রেটরে নতুন ডকুমেন্ট শুরু করুন।

.          যে বিটম্যাপ ব্যবহার করতে চান সেটা ইমপোর্ট করুন।

.          ইমেজটি সিলেক্ট করুন এবং অপশন বারে (মুল মেনুবারের নিচে) লাইভ ট্রেস বাটনে ক্লিক করুন। সাথেসাথে ভেক্টর ইমেজ পাওয়া যাবে।

.          বেশকিছু প্রিসেট দেয়া আছে সেগুলি ব্যবহার করতে পারেন। অথবা Tracing Options Dialog বাটনে ক্লিক করে ডায়ালগ বক্স ওপেন করুন। সেখানে প্রিভিউ অন করে নানারকম সেটিং পরিবর্তন করে দেখুন। যেমন Threshold পরিবর্তন করে কতটা ডিটেল চান বলে দিতে পারেন।

.          সবকিছু ঠিক থাকলে ট্রেস বাটনে ক্লিক করুন।

.          ট্রেস করার পর সবগুলি অংশ একসাথে থাকে। এদেরকে পৃথক করার জন্য Expand বাটনে ক্লিক করুন। এরপর একে ভেক্টর ড্রইং এর মত সবধরনের পরিবর্তণ করা যাবে।

বিটম্যাপ ইমেজের প্রধান বৈশিষ্ট এতে নিখুতভাবে রং ব্যবহার করা যায়। ভেক্টরে পরিনত করলে ফটোগ্রাফের মত নিখুত রং পাবেন না। এছাড়া মুল ছবিতে কন্ট্রাষ্ট বেশি থাকলে ভাল ফল পাওয়া যাবে।

অবশ্যই কখনো কখনো ভেক্টরে পরিনত করার পর কিছু এডিট করা প্রয়োজন হতে পারে।

By Uzzal Malake

Tutorial-Illustrator-11


        ইলাষ্ট্রেটর লোগো ডিজাইন টেক্সট ব্যবহার
লোগো ডিজাইনের সময় কি কি বিষয়ে দৃষ্টি দিতে হয় সেবিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে আগের টিউটোরিয়ালে। বাস্তবে কিভাবে লোগো তৈরী করবেন সেসম্পর্কে জানানো হচ্ছে এখানে। ডিজাইনের জন্য ইলাষ্ট্রেটর উল্লেখ করা হচ্ছে।

আপনি যদি বিশ্বখ্যাত লোগোগুলি দেখেন, মাইক্রোসফট, এপল, কোকাকোলা কিংবা ফুজিতসু, লক্ষ করবেন তাদের মুল লোগো টেক্সট ভিত্তিক। কোম্পানীর নামকে বিশেষভাবে লেখা। ভালভাবে লক্ষ্য করলে দেখবেন মাইক্রোসফটের অক্ষরের এক যায়গা কোনাচে, কোকাকোলা লেখার ধরন প্রবাহিত তরলের মত, ফুজিতসুর ওপরে বাকানো এস এর মত একটি অংশ। মুল টেক্সটকে পরিবর্তণ করে এই কাজগুলি করে নিতে পারেন।
আপনার প্রথম কাজ অবশ্যই যতটা সম্ভব কাছাকাছি ফন্ট ব্যবহার করা। টাইপ করা, ফন্ট পরিবর্তন, আকারে বড়ছোট করা ইত্যাদি উল্লেখ করা হয়েছে আগের টিউটোরিয়ালগুলিতে। নির্দিষ্ট একটি যায়গায় কিভাবে পরিবর্তণ করবেন জেনে নিন।
.          প্রথম উদাহরনে দুটি শব্দের জন্য ভিন্ন ভিন্ন রং ব্যবহার করা হয়েছে। সরাসরি টেক্সট ব্যবহার করে এধরনের লোগো তৈরী করতে পারেন।
টাইক করা লেখাকে নির্দিষ্ট মাপে আনুন।
নির্দিষ্ট অংশ সিলেক্ট করুন। পছন্দমত রং ব্যবহারের জন্য সেই রং সিলেক্ট করুন।
.          পরের উদাহরনে টি অক্ষরকে ওপরের দিকে বড় করা হয়েছে এবং দুপাশে প্রসারিত করে পুরো লেখার সমান করা হয়েছে।
লেখাকে সুবিধেমত সাইজে আনুন।
টেক্সট সিলেক্ট করা অবস্থায় মেনু থেকে Type – Create Outline কমান্ড দিয়ে টেক্সটকে ভেক্টরে পরিনত করুন। ভেক্টরে পরিবর্তন করার পর টাইপ হিসেবে লেখা পরিবর্তন করা যাবে না।
ডিরেক্ট সিলেকশন টুল (সাদা পয়েন্টার) ব্যবহার করে নির্দিষ্ট অংশ সিলেক্ট করুন এবং ড্রাগ করে সুবিধেজনক মাপে আনুন।
ডিরেক্ট সিলেকসন টুল ব্যবহার করে আউটলাইন করা টেক্সট এর সবধরনের পরিবর্তণ করা যাবে।
.          তৃতীয় উদাহরনে একটি অক্ষরকে বড় করে তারসাথে মানানসইভাবে বাকি অক্ষরগুলিকে সাজানো হয়েছে। বাংলা-টিউটর লোগো হিসেবে হয়ত এখানে মানানসই না, তবে এধরনের বহু লোগো আপনি নিশ্চয়ই দেখেছেন।
টেক্সটকে আউটলাইন করে নিন।
অবজেক্ট-আনগ্রুপ কমান্ড দিয়ে অক্ষরগুলিকে পৃথক করে নিন।
নির্দিষ্ট অক্ষরকে বড় করে নিন এবং বাকি অক্ষরগুলি তারসাথে মিল করে সাজান।
.          চতুর্থ উদাহরনে দুটি শব্দের মাঝখানে একটি ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। বিষয়ের সাথে মানানসই এধরনের আইকন ব্যবহার করতে পারেন লোগোতে।
.          পঞ্চম উদাহরনে একটি ইলাষ্ট্রেটর সিম্বল ব্যবহার করা হয়েছে লোগোর সাথে। ইলাষ্ট্রেটর সিম্বল লাইব্রেরী থেকে অথবা নিজে কিছু তৈরী করে ব্যবহার করতে পারেন লোগোর সাথে।
.          পরের লোগোতে একটি সিম্বল ব্যবহার করা হয়েছে ব্যাকগ্রাউন্ড হিসেবে। গাঢ রঙের ব্যাকগ্রাউন্ডের ওপর সাদা টেক্সট লোগোর তৈরীর জনপ্রিয় একটি পদ্ধতি। সিম্বর বা অন্য ইমেজকে টেক্সট এর পেছনে নেয়ার জন্য Object – Arrange – Send to back কমান্ড ব্যবহার করুন।

ইমেজ ব্যবহার করে লোগো তৈরীর বিষয় আগামী টিউটোরিয়ালে।

By Uzzal Malake